রাধারানি স্টেডিয়ামে চলছে খেলা। নিজস্ব চিত্র।
বর্ধমানের ক্রিকেটে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বলতে সবাই বোঝে শিবাজি ও মিলনীর লড়াই। মাঠ উপচে পড়া ভিড়, প্রিয় দলের জন্য গলা ফাটানো, আর টানটন লড়াই— এই দুই দলের খেলা মানে এটাই পরিচিত ছবি বর্ধমানের। রবিবারে তেমনই একটি খেলা দেখল বর্ধমানের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
রাধারানি স্টেডিয়ামে প্রথম ডিভিসন ক্রিকেট লিগের খেলার মুখোমুখি হয় শিবাজি ও মিলনী। দুই দলেই ছিলেন বেশ কিছু নামী খেলোয়াড়। আর খেলার শেষও হল তাঁদের লড়াইতেই। শিবাজির তরফে খেলেন গত তিন বছর ধরে ইস্টবেঙ্গল ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও বাংলার রঞ্জি দলের সদস্য শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। মিলনীর দলে ছিলেন বাংলা দলের দীর্ঘদিনের খেলোড়ায় সৌরাশিস লাহিড়ি। মাঠে ছিলেন প্রাক্তন র়ঞ্জি খেলোয়াড় পঙ্কজকুমার সাউ, জয়জিৎ বসু।
এ দিন শুরু থেকেই খেলা ছিল জমজমাট। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মিলনীর অধিনায়ক ঋষি শর্মা। তারা নির্ধারিত ৪০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে। সোহম ঘোষ সর্বাধিক ৭৫ রান করেন। জয়জিৎ বসু করেন ৪৩ রান। শিবাজির তরফে সুজিত যাদব ৩৭ রানে ২ উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালই খেলছিল শিবাজির ব্যাটসম্যানেরা। কিন্তু খেলা জমে যায় শেষ ওভারে। ব্যাট হাতে মাঠে ছিলেন শুভজিৎ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। বল হাতে পান সৌরাশিস। প্রথম পাঁচ বলে একটি ছয়, ওয়াইড আর খুচরো রান নিয়ে শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল চার রান। একটি চার মেরে জয় ছিনিয়ে নেয় শিবাজি। সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। শিবাজির তরফে সর্বাধিক ৮২ রান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পঙ্কজকুমার সাউ করেন ৬৩ রান । মিলনীর ঋষি শর্মা ৪০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
টক্করটা ছিল কর্মকর্তাদেরও। মিলনী বর্ধমান জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্তের দল। আর শিবাজির প্রধান কর্তা হলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট সচিব শিবশঙ্কর ঘোষ। শিবশঙ্করবাবু জানান, অনেকে ভেবেছিলেন অত রান করতে পারব না। দ্বিতীয়ার্ধে অনেকে মাঠ ছেড়ে চলেও গিয়েছিলেন। মিলনী ১৯৯১ সাল থেকে এ পর্যন্ত দু’বার জিতেছে বলে জানান তিনি। মিলনীর কর্তা উত্তম সেনগুপ্ত জানান, ছেলেরা ভাল রান তুলেছিল। কিন্তু ফিল্ডিং ভাল না হওয়ায় হারতে হল। তবে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই হওয়ায় বলে খুশি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy