Advertisement
১৯ মে ২০২৪
Durgapur

দুর্গাপুরের সার কারখানা খুলবে কবে, প্রশ্ন শহরে

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২১-এর ৭ ফেব্রুয়ারি ‘উর্জা গঙ্গা প্রজেক্ট’-এর আওতায় প্রায় ২,৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্যাস অথরিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের গড়ে তোলা ৩৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ দোভি-দুর্গাপুর প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের উদ্বোধন করেন।

দুর্গাপুরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

দুর্গাপুরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ফাইল চিত্র।

সুব্রত সীট
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২২ ০৭:২৬
Share: Save:

সম্প্রতি নবান্নে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে সার ও বীজের কারখানা তৈরির ডাক দিয়েছেন। তার পরে, ফের বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা হিন্দুস্থান ফার্টিলাইজ়ার কর্পোরেশন লিমিটেড (এইচএফসিএল) নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে দুর্গাপুরে। সূত্রের দাবি, দোভি-দুর্গাপুর প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন চালুর পরে আশা জেগেছিল, কারখানাটি ফের খুলতে পারে। কিন্তু তার দেড় বছর পরেও এ বিষয়ে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নজরে পড়েনি বলেই অভিযোগ। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২১-এর ৭ ফেব্রুয়ারি ‘উর্জা গঙ্গা প্রজেক্ট’-এর আওতায় প্রায় ২,৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্যাস অথরিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেডের গড়ে তোলা ৩৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ দোভি-দুর্গাপুর প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের উদ্বোধন করেন। পানাগড়ের বেসরকারি সার কারখানায় এই পাইপলাইন থেকে গ্যাস নিয়েই সার উৎপাদন করা হয়। ওই পাইপলাইন থেকেই গ্যাস নিয়ে দুর্গাপুরের এইচএফসিএল কারখানাটি ফের চালুর বিষয়টি উস্কে দিয়েছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। পাইপলাইন উদ্বোধনের দিন পানাগড়ের বেসরকারি সার কারখানার সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি দাবি করেন, এই পাইপলাইনের গ্যাস নিয়ে দুর্গাপুরের বন্ধ সার কারখানা খোলার বিষয়ে তিনি আশাবাদী। কিন্তু এ পর্যন্ত তার কোনও ইঙ্গিত নজরে আসেনি বলে অভিযোগ তৃণমূল ও সিপিএমের।

তবে কারখানা চালুর বিষয়ে এর আগেও নানা কথা শোনা গিয়েছিল। যেমন, ২০১৩-র ১৪ মার্চ তৎকালীন সার প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত জেনা সংসদে জানান, কারখানা ফের খোলার জন্য বিআইএফআর-এর কাছে ‘ড্রাফট রিহ্যাবিলিটেশন স্কিমস’ (ডিআরএস) জমা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তৎকালীন সার প্রতিমন্ত্রী নিহাল চাঁদ আশ্বাস দেন, নিলাম করে বেসরকারি উদ্যোগে কারখানাটি চালু করা হবে। কিন্তু তা আর হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে সুরেন্দ্রের ওই ‘আশার’ কথা শুনে অনেকেই ভেবেছিলেন এ বার হয়তো কারখানা খোলার তোড়জোড় হতে পারে।

বিরোধীদের বক্তব্য, রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা থেকে সার উৎপাদন হলে চাষিরা তুলনায় কম দামে সার পাবেন। তাছাড়া বর্তমানে সারের আকাল চলছে বলে দুর্গাপুর লাগোয়া এলাকার চাষিদের একাংশের অভিযোগ। দুর্গাপুরেই সার উৎপাদন হলে সে সমস্যাও মিটতে পারত। কংগ্রেসের জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তীর দাবি, ইউপিএ সরকারের আমলে সার কারখানা খোলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তিনি, সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার, তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়, তিন জনেরই অভিযোগ, “বিজেপি সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বিক্রির পক্ষে। সেখানে বন্ধ কারখানা খুলবে, সাংসদের এই আশার কোনও ভিত্তি নেই।” যদিও সুরেন্দ্র দাবি করেছেন, “বন্ধ সার কারখানা খোলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে ইতিমধ্যেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durgapur Fertilizer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE