তৃণমূল বনাম নির্দলের কোন্দল। তাতেও জুড়ে গেল পুলিশের নাম। উঠল পক্ষপাতের অভিযোগ।
কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির ৪২ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থী তপন মাঝির অভিযোগ, তাঁর প্রতিপক্ষ নির্দল প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন কেশপুর থানার ওসি খন্দকার সৈফুদ্দিন আহমেদ। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির পাশাপাশি জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াকেও লিখিত নালিশ জানান তপনবাবু।
অভিযোগপত্রে নির্দল প্রার্থীর নাম নেই। তবে তপনবাবুর বিরুদ্ধে দু’জন নির্দল প্রার্থী সফিউল আলম এবং শেখ ইয়াকুব আলি। এই আসনে বিরোধী প্রার্থী নেই। তৃণমূল সূত্রের খবর, সফিউল ও ইয়াকুব দু’জনেই দলের বিক্ষুব্ধ। প্রতীক না পেয়ে নির্দল হয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ তাহলে কার বিরুদ্ধে? কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ তপনবাবু বলছেন, ‘‘ওসি ইয়াকুবকে জেতানোর চেষ্টা করছেন। প্রচারটুকু করতে পারছি না।’’
শাসকদলের প্রার্থীর এমন অভিযোগে শোরগোল জেলায়। তপনবাবুর অভিযোগ কি সত্যি? তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “ওসি প্রচার করতে দেওয়া, না দেওয়ার কে? ওসি কি দল চালাবেন? দলের ব্লক সভাপতিকে বলে দিয়েছি, এ সব বরদাস্ত করব না। প্রতীক যিনি পেয়েছেন, তিনিই দলের প্রার্থী। তাঁর হয়ে প্রচারের কথা ব্লক সভাপতিকেও বলেছি।” নির্দল প্রার্থীর হয়ে কাজ করার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: জিতেও বোর্ড গড়া যাবে কি? বিনাযুদ্ধের ৩৪% ঘিরে সংশয়
এ বার পঞ্চায়েত ভোটে কেশপুরে তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ দলেরই বিক্ষুব্ধরা। ২৩০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৫৪টিতে এবং পঞ্চায়েত সমিতির ৪৫টি আসনের মধ্যে ২২টিতে তৃণমূল বনাম বিক্ষুব্ধ নির্দলের লড়াই হচ্ছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, তপনবাবুর প্রতিপক্ষ দুই নির্দল প্রার্থীই দলের কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পানের অনুগামী। তপনবাবুও বলছেন, “কেশপুরের ওসি পঞ্চায়েতে আমার প্রার্থিপদ নিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেছিলেন। বিরুদ্ধে ছিলেন সঞ্জয়ও।” কেন? তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, “তোলাবাজি, দুর্নীতির প্রতিবাদ করতাম। তাই আমার উপর রাগ।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সঞ্জয়ের জবাব, ‘‘ওই প্রার্থীর সঙ্গে এলাকার মানুষ নেই। সেটাই সমস্যা। এর সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy