Advertisement
২১ মে ২০২৪
Abhishek Banerjee Case

অভিষেকের আর্জি জরুরি ভিত্তিতে শুনতে রাজি হল না ডিভিশন বেঞ্চ! ফিরল প্রধান বিচারপতির কাছেই

সোমবার থেকে হাই কোর্টে গ্রীষ্মাবকাশ। তার আগে শনি এবং রবিবার ছুটি। শুক্রবার বেশ কিছু পূর্বনির্ধারিত মামলা রয়েছে। যে কারণে অভিষেকের আবেদন শুনতে পারবে না বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

image of Abhishek Banerjee

বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, ‘‘আমি মৌখিক ভাবে বলছি, উপায় না থাকলে আপনারা অবকাশকালীন বেঞ্চে যেতে পারেন।’’ — ফাইল ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২৩ ১১:৪২
Share: Save:

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন জরুরি ভিত্তিতে শুনতে রাজি হল না বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার থেকে হাই কোর্টে গ্রীষ্মাবকাশ। তার আগে শনি এবং রবিবার ছুটি। শুক্রবার বেশ কিছু পূ্র্বনির্ধারিত মামলা রয়েছে। বেঞ্চ জানিয়েছে, সে কারণে অভিষেকের আবেদন শুক্রবার শুনতে পারবে না তারা। এর পরেই অভিষেক এবং কুন্তলের আবেদন ফেরত গেল প্রধান বিচারপতির কাছে।

এই প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ‘‘পূর্বনির্ধারিত অনেক মামলা রয়েছে। রায় ঘোষণা করতে হবে। সেগুলো সাইটে আপলোডের কাজ রয়েছে। আমাদের অনেক কাজ, এখনই মামলা শুনতে পারব না। গ্রীষ্মের ছুটির পর আদালত খুললে সম্ভব হবে।’’ এই নিয়ে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বলেন, ‘‘আমি মৌখিক ভাবে বলছি, উপায় না থাকলে আপনারা অবকাশকালীন বেঞ্চে যেতে পারেন।’’ মামলাটি ফেরত যায় প্রধান বিচারপতির কাছে। বেঞ্চের রায়ের পরেই প্রধান বিচারপতির এজলাসে পৌঁছন অভিষেক এবং নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের আইনজীবীরা।

নিয়োগ মামলায় অভিষেকের নাম নেওয়ার জন্য তাঁকে ‘চাপ’ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন অভিযুক্ত কুন্তল। কাকতালীয় ভাবে, কুন্তল যে দিন এই অভিযোগ করেন, তার আগের দিনই অভিষেক কলকাতার শহিদ মিনারের সভায় একই অভিযোগ করেছিলেন। তিনি মদন মিত্র এবং কুণাল ঘোষের মতো নেতা যখন কেন্দ্রীয় সংস্থার হেফাজতে ছিলেন, তখন তাঁদেরও অভিষেকের নাম নেওয়ার জন্য ‘চাপ’ দেওয়া হয়েছিল। কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলাটি এর পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ওঠে। তাঁর পর্যবেক্ষণ ছিল, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু’জনের একই ধরনের দাবি কাকতালীয় হতে পারে না। এই মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বিচারপতি বলেছিলেন, দরকারে অভিষেককেও জেরা করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই। নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে পাল্টা আবেদন করেছিলেন অভিষেক। এর পর মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ফেরে হাই কোর্টে। বেঞ্চও বদল হয়। বিচারপতি সিন্‌হার রায়ে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা বা প্রত্যাহারের যে আবেদন অভিষেক করেছিলেন, তার কোনও সারবত্তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই কারণে অভিষেক এবং কুন্তলকে মোট ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। জরিমানার টাকা অবিলম্বে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন অভিষেক। সেই আবেদন জরুরি ভিত্তিতে শুনতে রাজি হল না বেঞ্চ।

(এই প্রতিবেদন প্রথম বার প্রকাশের সময় প্রধান বিচারপতি হিসাবে অমৃতা সিন্‌হার নাম লেখা হয়েছিল। যা সঠিক নয়। প্রধান বিচারপতি হলেন টিএস শিবজ্ঞানম। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE