গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
বুধবার আংশিক সময়ের এক শিক্ষকের মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ভর্ৎসনা, ‘‘এটা কি মগের মুলুক? আপনাদের মতো লোকের জন্য ন’বছর স্থায়ী পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। দুর্ভাগ্যজনক।’’ বিচারপ্রার্থীর অভিযোগ, তাঁকে অন্যায় ভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন, স্থানীয় বিধায়ক?’’ মামলাটি খারিজ করেছেন বিচারপতি।
১৯৯৮ সালের মে মাস থেকে ২০০৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত নদিয়ার গয়েশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলার আংশিক সময়ের শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন নাসিরুদ্দিন শেখ। তাঁর অভিযোগ, অন্যায় ভাবে তাঁকে শিক্ষকপদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে হাই কোর্টে মামলা করেন নাসিরুদ্দিন।
রাজ্য শিক্ষা দফতরের যুক্তি, ওই পদ স্থায়ী নয়। অস্থায়ী শিক্ষক হিসাবে কিছু সময়ের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল নাসিরুদ্দিনকে। স্কুলে যোগ দেওয়ার সময় তাঁকে নিয়োগপত্রও দেওয়া হয়নি। শুধু পরিচালন কমিটির সুপারিশ মেনে শিক্ষকের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। স্থায়ী নিয়োগ করা সম্ভব না হলে অনেক সময় এই ধরনের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। স্কুলে যোগ দেওয়ার সময় পরিষ্কার জানানো হয়েছিল, এটা অস্থায়ী পদ। কেউ একে স্থায়ী চাকরি বলে ধরে নিতে পারেন না।
এর পরই ওই শিক্ষকের মামলাটি খারিজ করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy