মল্লিকা চোঙদার। —নিজস্ব চিত্র।
‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় অনুব্রত মণ্ডল-সহ তাঁর একাধিক ঘনিষ্ঠের পর এ বার পূর্ব বর্ধমানের এক তৃণমূলনেত্রীকে তলব করল সিবিআই। মল্লিকা চোঙদার নামে ওই নেত্রীকে ১৬ জুন দুর্গাপুরের এনআইটি অতিথিনিবাসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। যদিও মল্লিকার দাবি, সিবিআই কেন তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে, তা জানেন না তিনি।
বুধবার দুপুরে গুসকরা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর মল্লিকার হোয়াটসঅ্যাপে ওই নোটিসটি পাঠিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে তাঁকে ফোনও করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপের ওই নোটিসে বলা হয়েছে, ১৬ জুন সকাল ১০টার মধ্যে দুর্গাপুরের এনআইটি অতিথিনিবাসে হাজিরা দিতে হবে মল্লিকাকে। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআই কেন ডেকেছে, তা আমার জানা নেই। তবে একজন সৎ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে যথাসময়ে হাজিরা দেব।’’
সিবিআই সূত্রের দাবি, গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা দিন অর্থাৎ ২ মে বীরভূমের ইলামবাজারে রাজনৈতিক হিংসা হয়। তারই পরিপেক্ষিতে মল্লিকা চোঙদারকে ডাকা হয়েছে। কারণ, সে দিন তিনি বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডললের নিরাপত্তারক্ষীর মোবাইলে ফোন করেছিলেন। ওই কল লিস্ট ধরেই সিবিআই তাঁকে তলব করেছে বলে সূত্রের দাবি।
প্রসঙ্গত, এই মামলায় সম্প্রতি অনুব্রত ছাড়াও বর্ধমানের আউশগ্রামের গুসকরা ২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন লাভপুরের বিধায়ক অভিজিত্ সিংহ ওরফে রানা এবং কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজওে। গত সপ্তাহে অরূপ মিধ্যা এবং তাপস চট্টোপাধ্যায় নামে দুই তৃণমূল নেতাকেও দুর্গাপুরে তলব করে সিবিআই। সূত্রের খবর, ২ মে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন অনুব্রতকে কেন তাঁরা ফোন করেন, তার কারণ জিজ্ঞাসা করেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy