দুর্নীতিগ্রস্তদের গ্রেফতার করার দায়িত্ব তাঁর উপরে। কিন্তু ঘুষ নিতে গিয়ে নিজেই গ্রেফতার হয়ে গেলেন রাজ্যের দুর্নীতিদমন ব্যুরোর ডিএসপি শুভাশিস চক্রবর্তী। তাঁকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যেরই এক প্রবীণ বনকর্তা। দুর্নীতিদমন ব্যুরো (এসিবি) জানিয়েছে, অলঙ্কারকুমার ঝা নামে ওই বনকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছিল। শুভাশিসবাবুই সেই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন।
এসিবি জানিয়েছে, এই তদন্তে অভিযুক্তের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসারের যোগসাজশের কথা জানতে পেরেছিলেন শীর্ষকর্তারা। তার পর থেকেই ওই ডিএসপি-র উপর নজর রাখা হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ডানলপের কাছে একটি হোটেলে হানা দেওয়া হয়। প্রায় নগদ আড়াই লক্ষ টাকা লেনদেনের সময় দু’জনকে হাতেনাতে পাকড়াও করে এসিবির দল। রাতে দু’জনের ঠাঁই হয়েছে লালবাজারের সেন্ট্রাল লক-আপে। আজ, রবিবার বিশেষ আদালতে হাজির করানো হবে ধৃতদের।
অলঙ্কার ১৯৮২ সালের ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের অফিসার। ১৯৯৮-৯৯ সাল নাগাদ কোচবিহারের ডিএফও (বন্যপ্রাণ) থাকার সময় ৪০ লক্ষ টাকারও বেশি রাজস্বে গরমিলের অভিযোগে ধরা পড়েন তিনি। ৬১ দিন জেলও খেটেছিলেন। কোচবিহার থেকে বদলি হয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁর গাড়ির ভিতর থেকে লক্ষাধিক টাকার কাঠ উদ্ধার করে। গ্রেফতার না হলেও তাঁর পদোন্নতি আটকে যায়। পরবর্তী কালে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের রায়ে পদোন্নতি পেয়ে দার্জিলিঙের পদ্মজা নায়ডু চিড়িয়াখানার অধিকর্তা হন অলঙ্কার।
বন দফতরের কর্তারা বলছেন, দার্জিলিঙের চিড়িয়াখানার অধিকর্তা থাকার সময় বিদেশ থেকে পশু আনা, গাড়ি ভা়ড়ার বিল, এক খাতের টাকা অন্য খাতে খরচ করার মতো অভিযোগ উঠেছিল। সে কারণে ২০১৪ সালের শেষের দিকে তাঁকে অধিকর্তার পদ থেকে সরিয়ে সল্টলেকের অরণ্য ভবনে ‘ওএসডি’ হিসেবে বদলি করা হয়। বেনিয়ম নিয়ে তদন্ত শুরু করে ভিজিল্যান্স।
পরে অর্থ দফতরের স্পেশ্যাল অডিটে গরমিল উঠে আসায় বিষয়টি এসিবি-কে তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছিল। দফতরের পদস্থ কর্তার গ্রেফতারি নিয়ে রাতে বনমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘পুরনো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শুনেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy