উদ্বোধন হওয়া গেট । নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP
স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবসে একটি গেটের উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল চন্দননগরে। গেটটি পুরসভার অনুমতি নিয়ে তৈরি হয়নি, এই যুক্তিতে উদ্বোধনের পরে পরেই সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাতে অসুবিধায় পড়েছেন পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকেরা।
চন্দননগর বিদ্যালঙ্কারে থাকা ওই বেসরকারি বাংলামাধ্যম স্কুলে পড়ে প্রায় ১৪০০ পড়ুয়া। সঙ্কীর্ণ রাস্তা দিয়ে স্কুল থেকে ঢুকতে-বেরোতে হয় তাদের। সম্প্রতি ওই রাস্তায় ফাটলও দেখা দেওয়ায় তা আরও সরু হয়েছে বলে অভিযোগ।
প্রধান শিক্ষক অর্পণ রক্ষিত জানান, ২ জানুয়ারি স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবসে অভিভাবকদের দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে প্রশস্ত রাস্তায় একটি গেটের উদ্বোধন করেন মেয়র পারিষদ (আলো) তথা স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক পার্থসারথি দত্ত। কথা ছিল, পর দিন থেকেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য গেটটি খুলে দেওয়া হবে। অর্পণ বলেন, “গেট খোলার কিছুক্ষণ পরেই এলাকার তৃণমূল পুর প্রতিনিধি (কাউন্সিলর) ওমপ্রকাশ মাহাতো এসে বলেন, রাস্তায় যানজট হচ্ছে। পুরসভাকে না জানিয়ে কেন ওই গেট খোলা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারপরেই গেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।” তিনি জানান, ৪ জানুয়ারি পুরসভার কাছে অনুমতির জন্য লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু অনুমতি না আসায় গেট আপাতত বন্ধই রাখা হয়েছে।
ওমপ্রকাশ বলেন, “রাস্তায় যানজট হলে স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে আমাকে হস্তক্ষেপ করতেই হয়। তাই পুরসভার অনুমতি না মেলা পর্যন্ত গেটটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।” অন্য দিকে, পার্থর দাবি, এক দিনের জন্য ‘ট্রায়াল’ দেওয়া হয়েছিল। গেটটি এখনই খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, “স্কুল আবেদন করেছে। বিষয়টি
দেখা হচ্ছে।”
তবে স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, ওমপ্রকাশ এবং পার্থের রেষারেষির জেরেও গেট বন্ধ রাখা হতে পারে। স্থানীয় কাউন্সিলর হওয়া সত্ত্বেও ওমপ্রকাশ ডাক পাননি স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবসে। দুই নেতার অবশ্য বক্তব্য, তাঁদের মধ্যে সম্পর্কে কোনও টানাপড়েন নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy