কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলের জনসভা। সোমবার চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে।
কেন্দ্রের ‘বঞ্চনা’ এবং বিভিন্ন ‘জনবিরোধী নীতি’র বিরুদ্ধে সোমবার চুঁচুড়ার প্রাণকেন্দ্র ঘড়ির মোড়ে দলীয় সভা ডেকেছিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। কিন্তু সভায় দেখা গেল না চুঁচুড়ার পুরপ্রধান অমিত রায় এবং ছ’নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি (কাউন্সিলর) ঝন্টু বিশ্বাসকে। ফলে, ফের হুগলির জেলা সদরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল বলে মনে করছেন অনেকে।
অনুপস্থিত দুই তৃণমূল নেতারই দাবি, আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে যাননি। বিধায়ক বলেন, ‘‘দলের ব্যানারে অনুষ্ঠান। এরপরেও কাউকে কানে কানে গিয়ে আমন্ত্রণ জানানোর প্রয়োজন পড়ে বলে মনে হয় না। কেউ না এলে কিছু করার নেই।"
মূলত চুঁচুড়া বিধানসভা-কেন্দ্রিক এই জনসভা হয়। সাতটি পঞ্চায়েত এলাকার বহু তৃণমূল নেতা-কর্মী এবং চুঁচুড়া পুরসভার বহু দলীয় কাউন্সিলর ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন। বেশ কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন।
নিজের ডাকা জনসভা সফল বলেই দাবি করেন অসিত। মঞ্চে পুরপ্রধানের দেখা না মেলায় তৃণমূলেরই একটা অংশ বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছেন না। অমিত-অসিত দ্বন্দ্ব সুবিদিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘দিদি (মুখ্যমন্ত্রী) যতই সকলকে মিলেমিশে থাকতে বলুক না কেন, আমাদের দলে নিজেদের মধ্যে কোন্দল কোনও দিনও মিটবে বলে মনে হয় না।’’
বিষয়টিকে গোষ্ঠী কোন্দল হিসেবেই দেখছেন বিরোধীরা। বিজেপির জেলা নেতা সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘যেখানে সভা, সেখানে পুরপ্রধানই নেই। এটা শুধু তৃণমূলেই সম্ভব।’’ সিপিএমের চুঁচুড়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল নিয়ে যত কম কথা বলা যায়,ততই মঙ্গল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy