Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Al Qaeda

Al Qaeda: ছেলে আল কায়দা জঙ্গি! বিশ্বাস করতে পারছেন না ধৃত আহসানউল্লাহর মা ও পরিবার

আল কায়দার সদস্য ছেলে! তাঁকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। এ কথা শুনে বিশ্বাস করতে পারছেন না ধৃত কাজি আহসানউল্লাহর মা ফরিদা বেগম।

এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হওয়া দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি।

এসটিএফের হাতে গ্রেফতার হওয়া দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২২ ১৬:০৭
Share: Save:

দুনিয়ার ত্রাস হয়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার সদস্য ছেলে! তাঁকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। এ কথা শুনে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না হুগলির আরামবাগের সামতা এলাকার বাসিন্দা ধৃত কাজি আহসানউল্লাহর মা ফরিদা বেগম। বুধবার সন্ধ্যায় বারাসতের শাসনের খড়িবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আহসানউল্লাহ এবং আব্দুল রকিবকে। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ‘আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট’-এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত আবসানউল্লাহ এবং রাকিব। ছেলে যে জঙ্গি তা কল্পনায় আনতে পারছেন না তাঁর মা ফরিদা। তাঁর দাবি, ‘‘ও নিজের পছন্দে বিয়ে করেছিল। বাইরেই থাকত। তবে বাড়িতে মাঝেমাঝে আসত।’’

ছোটবেলার বন্ধু যে নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে তা শুনে হতবাক আহসানউল্লাহর বন্ধু কাজি নাসিরও। তিনি বলেন, ‘‘ও আমাদের থেকে এক-দু’বছরের ছোট হবে। আমাদের সঙ্গেই পড়াশোনা করেছে। মনে হয় না যে এই কাজে ও জড়িত। ও কর্মসূত্রে বাইরে থাকে। গাড়ি চালায় এবং তার সঙ্গে কিছু বিক্রিও করে। এটাই আমরা জানি। আমরা তার সঙ্গে ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা করেছি, খেলাধুলো করেছি। তবে এই বিষয়টি জানি না। ও যে জঙ্গি এটা বিশ্বাস হচ্ছে না।’’

আরামবাগের আরান্ডি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোহরাব হোসেন এ নিয়ে বলেন, ‘‘আমি শুনলাম আহসানউল্লাহকে জঙ্গি সন্দেহে ধরেছে। ওকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না। তবে কেউ যদি দেশবিরোধী কাজ করে তা হলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আইন আইনের পথে চলবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Al Qaeda militant Arambagh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE