Advertisement
০১ মে ২০২৪
গরমে অসুস্থতা মোকাবিলায় দুই জেলায় উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের
SUmmer Heatwave

ঠান্ডা পানীয়ের দোকানে ভিড় নেই, রাস্তাও ফাঁকা

বাগনান, উলুবেড়িয়া, শ্যামপুর-সহ অনেক জায়গাতেই রাস্তার ধারে হোটেলগুলি খাঁ খাঁ করেছে। ঠান্ডা পানীয়ের দোকানেও ভিড় ছিল না।

সাধারণ বাসে ভিড় নেই, এসি বাসে যাত্রীদের ভিড়।

সাধারণ বাসে ভিড় নেই, এসি বাসে যাত্রীদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৫৯
Share: Save:

তখন বেলা ১১টাও বাজেনি। বুধবার তার মধ্যেই ফাঁকা হতে শুরু করল গ্রামীণ হাওড়ার বহু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। একান্ত প্রয়োজন না পড়লে গরমে আর কে বাইরে থাকতে চান!

গুগল বলছে, এ দিন হাওড়ায় তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। তবে, অনুভূত হয়েছে আরও বেশি। দূরপাল্লার বাসগুলিতে যাত্রী ছিল তূলনামূলক কম। তবে, বাতানুকূল বাসে ওঠার জন্য যাত্রীদের আগ্রহ ছিল দেখার মতো। উলুবেড়িয়ার নিমদিঘিতে দুপুরে ঠেলাঠেলি করে অনেক যাত্রীকে একটি ধর্মতলাগামী বাতানুকূল বাসে উঠতে দেখা যায়। এক যাত্রীর কথায়, ‘‘অন্য বাসের থেকে বাতানুকূল বাসের ভাড়া দ্বিগুণ। তবুও এই বাসেই যাব। গরমের হাত থেকে অন্তত বাঁচা যাবে।’’

বাগনান, উলুবেড়িয়া, শ্যামপুর-সহ অনেক জায়গাতেই রাস্তার ধারে হোটেলগুলি খাঁ খাঁ করেছে। ঠান্ডা পানীয়ের দোকানেও ভিড় ছিল না। বাগনানের এক ঠান্ডা পানীয়ের দোকানি বলেন, ‘‘বাজারে লোকজনই নেই। কারা আসবে ঠান্ডা পানীয় খেতে?’’

দাবদাহজনিত অসুস্থতা মোকাবিলা করতে এক গুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলার প্রতিটি হাসপাতাল এবং যে সব প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তর্বিভাগ চালু আছে, সেখানে একটি করে ঘর গরমে অসুস্থদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, দাবদাহের কারণে কেউ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এলে তাঁকে এই ঘরেই প্রথমে রাখা হবে। তাঁর শরীর থেকে তাপমাত্রা নামানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। বরফ, ওআরএস ও পর্যাপ্ত স্যালাইন মজুত করা হয়েছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কিশলয় দত্ত বলেন, "ঘরটি হতে হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। যে সব হাসপাতালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই, সেখানে অস্থায়ী ভাবে বাতানুকূল যন্ত্র বসানোর কথা বলা হয়েছে। কারণ, গরমের জন্য যাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁদের শরীর থেকে তাপমাত্রা কমানোটাই প্রধান কাজ। তারপরে তাঁর যদি স্ট্রোকের উপসর্গ দেখা দেয়, তখন আলাদা ভাবে চিকিৎসা করাতে হবে।’’

গরমে কর্মরত পুলিশকর্মীদের সুস্থ থাকতে ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে। এক পুলিশ আধিকারিক জানান, এর পাশাপাশি, কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের জন্য ওআরএস সরবরাহ করা হচ্ছে। সাঁকরাইলের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমন বক্সী জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাঁরা কাজ করেন, সেই সব আশাকর্মীদের জন্যেও ছাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুপুরের পরিবর্তে সকালে ও সন্ধ্যায় কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছ তাঁদের।

ডোমজুড়ের একটি মুদিখানার মালিক বলেন, ‘‘ইদ ও নববর্ষের পরে বাজার এমনিতেই ঠান্ডা। তার ওপরে প্রখর রোদের কারণে একটু বেলা বাড়লেই মানুষ ঘরে ঢুকে যাচ্ছেন। ফলে, কার্যত বেলা সাড়ে ১০টার পর থেকে বাজার সুনসান হয়ে যাচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Howrah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE