অভিযান: খোলা বাজারে অ্যাসিডের বেআইনি বিক্রিতে নজরদারি জেলা পুলিশ-প্রশাসনের। নিজস্ব চিত্র
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মেনে খোলা বাজারে অ্যাসিড বিক্রি নিয়ে বহুবার অভিযোগ উঠেছে। এমনই অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার বাগনান এবং উলুবেড়িয়ার বেশ কয়েকটি হার্ডওয়্যারের দোকান এবং গয়না তৈরির কারখানায় হানা দিয়ে প্রচুর বেআইনি অ্যাসিড বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ-প্রশাসন। মামলা রুজু করা হয় দোকানদারদের বিরুদ্ধেও।
অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন মহকুমাশাসক অংশুল গুপ্ত এবং এসডিপিও রূপান্তর সেনগুপ্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, যে ক’টি দোকান বা কারখানায় হানা দেওয়া হয়, দেখা যায় সর্বত্রই বেআইনি ভাবে বিক্রি হচ্ছে অ্যাসিড। কোনও দোকানদারই আইন মেনে অ্যাসিড বিক্রি এবং মজুত করছেন না।
অ্যাসিড বিক্রি করা বা মজুত রাখার ব্যাপারে আইনটি কী?
পুলিশ জানিয়েছে, অ্যাসিড বিক্রি করার জন্য জেলাশাসকের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। কাদের, তা সবিস্তার নথিভুক্ত করতে হয়। সেই রেজিস্ট্রারে ক্রেতাদের নাম এবং ছবি রাখতে হয়। কতটা অ্যাসিড ব্যবহার করা হল এবং কতটা অ্যাসিড মজুত থাকল তার রিপোর্ট প্রতি ১৫ দিন অন্তর মহকুমাশাসকের কাছে দাখিল করতে হয়। সাধারণত অ্যাসিড বিক্রি করে হার্ডওয়্যারের দোকানগুলি। ব্যবহারের জন্য অ্যাসিড মজুত করা হয় গয়নার কারখানাগুলিতে। হার্ডওয়্যারের দোকান থেকে মিউরিক এবং হাইডোক্লোরিক অ্যাসিড এবং গহনার কারখানাগুলি থেকে সালফিউরিক অ্যাসিড বাজেয়াপ্ত করা হয়। এসডিপিও রূপান্তর সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘যে সব হার্ডওয়্যারের দোকান এবং গহনা তৈরির কারখানায় হানা দেওয়া হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে ১৯১৯ সালের ‘পয়জন আইন’ এবং ২০১৪ সালের রাজ্য সরকারের করা ‘পয়জন রুল’ অনুযায়ী মামলা রুজু করা হবে।’’
একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, লাইসেন্স না নিয়ে অ্যাসিড বিক্রির ফলে একদিকে যেমন সরকারের রাজস্ব আদায় মার খাচ্ছে। আবার এর ফলে টাকা ফেললেই খুব সহজে মিলছে অ্যাসিড। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সূত্রে খবর, জেলায় বেআইনি অ্যাসিড বিক্রি বন্ধ করতে নিয়ম করে অভিযান চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy