অশালীন কাজের প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধা নিগ্রহের অভিযোগের ঘটনায় চার জন গ্রেফতার হলেন। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম সজল ঘোষ, চন্দন দে, রঞ্জু মুখার্জি ও বাবু বরুয়া। তাঁদের শুক্রবার ব্যরাকপুর কোর্টে তোলা হলে চার জনেরই অবশ্য জামিন হয়ে যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দমদম ক্যান্টনমেন্টের তিন নম্বর গেটের কাছে একটি বহুতলের তিনতলায় থাকেন মলয় মিত্র ও তাঁর পরিবার। একতলায় থাকতেন মলয়বাবুর মা-বাবা। ওই পরিবারের অভিযোগ, ফ্ল্যাটে ঢোকার রাস্তাতেই স্থানীয় যুবকেরা মদ্যপান করে আশালীন কাজকর্ম চালাতেন। অভিযোগ, এই অভিযুক্ত যুবকেরা অনেকেই বহুতলটির প্রোমোটার সজল ঘোষের পরিচিত। অভিযোগ, মদ্যপান ও অশালীন কাজের প্রতিবাদ করায় বুধবার রাতে ওই পরিবারের উপরে চড়াও হন কিছু যুবক। ধাক্কাধাক্কিতে জখম হন মলয়বাবুর মা ঝর্নাদেবী। বৃহস্পতিবার সকালে মিত্র পরিবারের অভিযোগ নেয় পুলিশ। সজলবাবু অবশ্য বৃহস্পতিবারই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মারপিটের সময়ে আমি ছিলাম না। বহুতলের সামনে মদ্যপানের আসর বসানোর অভিযোগ মিথ্যা।”
অভিযুক্তেরা আবার মিত্র পরিবারের এক সদস্যের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবারই থানায় পাল্টা শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। এ দিন এক অভিযুক্তের পরিবার থেকে দাবি করা হয়, মিত্র পরিবারের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সজল ঘোষের সঙ্গে মিত্র পরিবারের জমি সংক্রান্ত গণ্ডগোল চলছিল। তাই তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে ওই পরিবার। অভিযুক্তদের পরিবারের দাবি, বুধবার রাতে গণ্ডগোলের সময়ে মিত্র পরিবারের এক সদস্য এক মহিলার শ্লীলতাহানি করেন। এই নিয়ে থানায় অভিযোগও হয়েছে। অভিযুক্তদের পরিবারের দাবি, ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীকে গ্রেফতার করতে হবে। যদিও মিত্র পরিবারের তরফ থেকে জমি সংগ্রান্ত গণ্ডগোলের ঘটনার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। ওই পরিবারের দাবি, অভিযুক্তেরা এখন মূল ঘটনাকে অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy