Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Cafe

Cafe owner: চাঁদার নামে জুলুম! ক্যাফে-মালকিনের অভিযোগে যোধপুর পার্কে গ্রেফতার ৫, বন্ধ উৎসব

ক্যাফে-মালিকের অভিযোগ, বুধবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ যোধপুর পার্ক এলাকার স্থানীয় কিছু লোকজন তাঁর ক্যাফেতে এসে মোটা চাঁদা দাবি করেন।

স্বরলিপির অভিযোগ, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে কটূক্তি করেন টাকা চাইতে আসা জলসার উদ্যোক্তারা।

স্বরলিপির অভিযোগ, চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে কটূক্তি করেন টাকা চাইতে আসা জলসার উদ্যোক্তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:১০
Share: Save:

চাঁদা নিতে এসে এক ক্যাফের মালিককে হেনস্থার অভিযোগ উঠল। কলকাতার যোধপুর পার্ক এলাকায় বুধবার রাতের ওই ঘটনার পরেই লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ক্যাফে-মালিক স্বরলিপি চট্টোপাধ্যায়। এর জেরেই আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ‘যোধপুর পার্ক উৎসব’। স্বরলিপির করা অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত-সহ পাঁচ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

২৮২, যোধপুর পার্কে স্বরলিপির একটি ক্যাফে রয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, বুধবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ স্থানীয় কিছু লোক তাঁর ক্যাফেতে আসেন। যোধপুর পার্ক উৎসবের জন্য তাঁরা মোটা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় স্বরলিপিকে কটূক্তি করেন চাঁদা চাইতে আসা উৎসবের উদ্যোক্তারা। স্বরলিপি বলেন, ‘‘পৌনে ৯টার পর সাড়ে ৯টা নাগাদ আবার ১৪-১৫ জন মিলে ক্যাফেতে এসে ঝামেলা শুরু করেন। হুমকিও দেন। আমি মোবাইল বার করে ঘটনার ভিডিয়ো করতে গেলে আমার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।’’

ওই ঘটনার পরেই লেক থানায় উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা বিজয় দত্ত-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন স্বরলিপি। তিনি জানান, অভিযোগ দায়ের করে থানা থেকে ফেরার পথে দু’জন তাঁর পিছু নেয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। একে তোলাবাজি ছাড়া আর কী বলব! ওঁরা যা টাকা চেয়েছিলেন, অত টাকা দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। তার পরেও জোরজুলুম। থানা থেকে ফেরার পথেও পিছু নিয়েছিলেন দু’জন। ভয়ে ভয়ে বাড়ি ফিরেছিলাম।’’ স্বরলিপি জানিয়েছেন, তিনি সিঙ্গল মাদার এবং একাই ওই ক্যাফে চালান। পাঁচ বছরের একটি সন্তান রয়েছে তাঁর।

বুধবার ঘটনার সময় ওই ক্যাফেতেই উপস্থিত ছিলেন সুমিতা সামন্ত নামে এক জন। এই ঘটনাটি নিয়ে মূল ফেসবুক পোস্টটি তিনিই করেন। ওই পোস্টে সুমিতা জানান, যাঁরা চাঁদা চাইতে এসেছিলেন, তাঁরা কলকাতা পুরসভার স্থানীয় ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের অনুগামী। ফেসবুকে স্বরলিপিও লেখেন, ‘আমি প্রথম বার আমার কলকাতাকে উত্তরপ্রদেশের মতো অনুভব করলাম। সত্যি কি আমরা মহিলারা এ শহরে নিরাপদ? বিনা অনুমতিতে গায়ে হাত দিয়ে ফোন কেড়ে নিচ্ছে!’

ফেসবুক পোস্টে স্থানীয় কাউন্সিলরের নাম উঠে আসায় প্রশ্নের মুখে পড়েন মৌসুমি দাস। তিনি সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন ওই ওয়ার্ড থেকে। মৌসুমি বলেন, ‘‘ওটা স্থানীয় ৯৫ পল্লি ক্লাবের নিজস্ব উৎসব। আমি ওঁদের সঙ্গে যুক্ত নই। উৎসব কমিটির লোকেরা টাকা তুলতে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি। আমি উৎসব কমিটিতেও নেই। এই ঘটনা নিন্দনীয়। আমি কোনও ভাবেই সমর্থন করি না। স্থানীয় বিধায়ক দেবাশিষ কুমারের নির্দেশে এই উৎসব আপাতত হচ্ছে না।’’

বুধবার রাতেই মহিলা কমিশনে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন স্বরলিপি। তাঁকে থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়েরের পরামর্শ দিয়েছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এই ঘটনার নিন্দা করছি। কলকাতা মহিলাদের জন্য নিরাপদ শহর। এখানে এই সব অভিযোগ কোনও দিনই সহ্য করা হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cafe Coffee Jodhpur Park police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE