Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Medical Negligence

মেডিক্যাল কাউন্সিলে দোষী সাব্যস্ত চিকিৎসক

১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের আসল কপি-সহ যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে প্রবীণ ওই চিকিৎসককে মেডিক্যাল কাউন্সিলের অফিসে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিস জারি করা হয়েছে।

An image of Doctor

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:০৪
Share: Save:

আইসিইউ বা ক্রিটিক্যাল কেয়ারের পরিকাঠামো রয়েছে, এমন হাসপাতালে প্রসূতিকে স্থানান্তরের প্রয়োজন ছিল। সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে স্ত্রীরোগ চিকিৎসক গড়িমসি করেছিলেন বলে অভিযোগ। তাতেই মৃত্যু হয় প্রসূতির। আট বছর আগের ওই ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে স্ত্রীরোগ চিকিৎসক বাণীকুমার মিত্রকে দোষী সাব্যস্ত করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল।

১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের আসল কপি-সহ যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে প্রবীণ ওই চিকিৎসককে মেডিক্যাল কাউন্সিলের অফিসে উপস্থিত হওয়ার জন্য নোটিস জারি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, দমদম মতিলাল কলোনির বাসিন্দা, ৩৫ সপ্তাহের গর্ভবতী তনুশ্রী রায় মজুমদার বেহালার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। সেটি বাণীকুমারের নিজস্ব নার্সিংহোম। ওই তরুণীর স্বামীর অভিযোগ, ২০১৬ সালের ৩০ জুন আচমকাই তনুশ্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তা সামাল দেওয়ার মতো পরিকাঠামো ওই নার্সিংহোমে ছিল না। তা সত্ত্বেও উন্নত পরিকাঠামোর হাসপাতালে প্রসূতিকে স্থানান্তরের বিষয়ে বাণীকুমার সিদ্ধান্ত নিতে গড়িমসি করেন বলে অভিযোগ। কাউন্সিলের মতে, এর জেরেই তনুশ্রীর মৃত্যু হয়। যার দায় বাণীকুমার এড়াতে পারেন না।

কেন তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে বাণীকুমারকে শো-কজ় নোটিস পাঠিয়েছে কাউন্সিল। মেডিক্যাল কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠকে ওই চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক ভাবে খারিজ করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তী। তাঁর আগে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতেই বাণীকুমারকে সব কাগজ নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। ওই চিকিৎসক বলছেন, ‘‘রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের নোটিস এখনও পাইনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE