ব্যাঙ্কক থেকে এ দেশে প্রায় নিয়মিত সোনা পাচারের ঘটনা ঘটে। কলকাতা বিমানবন্দরে শুল্ক দফতরের নজরদারির সামনে ধরা পড়ে যায় সেই পাচার। বাজেয়াপ্ত হয় সোনা। অনেক ক্ষেত্রে আবার নজরদারি ফাঁকি দিয়ে সোনা নিয়ে বেরিয়েও যায় পাচারকারীরা।
এ বার পাচার হচ্ছিল ঠিক উল্টো পথে। তবে সোনা নয়, পাচার হচ্ছিল প্রাচীন ভারতীয় মূর্তি। একটি-দু’টি নয়, সংখ্যায় বহু। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ব্যাঙ্ককের বিমানে ওঠার আগেই ওই সব মূর্তি নিয়ে ধরা পড়লেন বছর বাইশের জিতেন্দ্র প্রসাদ। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে। ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক সামগ্রী বিদেশে পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হন তিনি। কলকাতা বিমানবন্দরের শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, সোমবার ভুটান এয়ারলাইন্সের উড়ানে কলকাতা থেকে ব্যাঙ্কক যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছন তিনি। সঙ্গের হাত ব্যাগে ছিল সামান্য কিছু জামাকাপড়। তিনটি কাঠের প্যাকিং বাক্স বিমানের পেটে চেক-ইন লাগেজ হিসেবে পাঠানোর চেষ্টা করেন তিনি। সন্দেহ হয় শুল্ক অফিসারদের। তাঁরা সেই কাঠের বাক্স খুলে দেখেন থরে থরে মূর্তি সাজানো। ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তরফে জানানো হয়েছে, এই মূর্তিগুলির প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য রয়েছে।
শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, বাক্সে ছিল ১৬টি কাঠের ও ৩৩টি ধাতুর মূর্তি এবং একটি পিতলের বাটি ছিল। মূর্তিগুলি প্রাচীন দেবদেবীর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এখনকার দেবদেবীর মুখের সঙ্গে কোনও মিল নেই। জিতেন্দ্র জেরা করে জানা যায়, কলকাতা বিমানবন্দরের বাইরে এক ব্যক্তি তাঁর হাতে এই তিনটি বাক্স তুলে দেন। ব্যাঙ্ককের এক ব্যক্তির হাতে তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাঁকে টাকা দেওয়া হয়েছিল। তিনি শুধু সেগুলি নিয়ে যাচ্ছিলেন। শুল্ক অফিসারেরা তাঁকে নিয়ে বিমানবন্দরের বাইরে যান। সেখানে তখনও দাঁড়িয়েছিলেন সেই পাচারকারী। তাঁকে চিনিয়ে দেন জিতেন্দ্র। গ্রেফতার করা হয় শ্রীবাস পাল নামে ওই ব্যক্তিকেও। শুল্ক দফতর সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির বাড়ি বিমানবন্দরের কাছেই। তিনি জেরায় জানান, কলকাতার বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি এই মূর্তি জোগাড় করে বিদেশে পাঠাচ্ছিলেন। তাই তিনিও কিছু টাকা পেয়েছেন। এই সব মূর্তির পুরাতাত্ত্বিক মূল্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন কেউই। দু’জনকেই মঙ্গলবার আদালতে তোলা হলে জামিন পান তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy