বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলা প্রসঙ্গে রাজ্য প্রশাসনকে একহাত নিলেন সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলার ঘটনা রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতাকে ইঙ্গিত করছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাজভবনের সামনে মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে আরও দু’টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস আসার কথা। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটলে রেল মন্ত্রককে হয়তো অন্য কিছু ভাবতে হবে।’’
মালদহের কুমারগঞ্জে এবং নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসকে লক্ষ করে পাথর হামলা হয়। ট্রেনটির বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বসুর সঙ্গে বৈঠক করে বেরোনোর পর এ নিয়ে মুখ খোলেন সুকান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘সিএএ আইন বিরোধী আন্দোলনের সময় দেখা গিয়েছিল, এনআরসির ভয় দেখিয়ে ট্রেনে-ট্রেনে হামলা হয়েছিল। এখন বন্দে ভারতের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ওঠার প্রতিশোধ নিতে এই ঢিল ছোড়া হচ্ছে না তো?’’ বস্তুত, এই একই অভিযোগ শোনা গিয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলাতেও।
তবে সুকান্তের সংযুক্তি, ‘‘আরও দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন পাওয়ার কথা ছিল বাংলার। সারা দেশে মোট ৪৭৫টি বন্দে ভারত (ট্রেন) চলার কথা। কিন্তু এ রকম ভাবে এত সুন্দর একটা ট্রেন যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন রেলও হয়তো এ ব্যাপারে ভাববে।’’
সুকান্তের অভিযোগ, শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজে জড়িত থাকতে পারেন। তিনি বলেন,‘‘আবাস যোজনায় ঘর পাচ্ছেন না। তা হলে বিডিও অফিসে ঢিল মারুন। বন্দে ভারতে কেন?’’
বুধবার রাজ্যপালের কাছে রাজ্যের একাধিক ইস্যু নিয়ে দরবার করেন সুকান্ত এবং শুভেন্দু। সুকান্ত জানান, বাংলার সব বিষয়েই রাজ্যপাল ওয়াকিবহাল আছেন। তবে তাঁরা কী কী বিষয়ে আলোচনা করেছেন, তা আগামী দিনে পরিষ্কার হবে। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে কোথায় কী ঘটছে, পুরোটাই তিনি (রাজ্যপাল) জানেন। কোচবিহারে আলুর ক্ষেতে বোমা উদ্ধার থেকে গণধর্ষণের অভিযোগ, সব কিছুই তাঁর গোচরে আছে।’’ পাশাপাশি আবাস যোজনায় ‘দুর্নীতি’ প্রসঙ্গে বিজেপি হাই কোর্টে যাবে বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy