প্রতীকী ছবি।
অস্ত্রোপচারের সময়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছিলেন রোগিণী। অভিযোগ, তাতে রেগে গিয়ে রোগিণীকে থাপ্পড় মারার পাশাপাশি তাঁর চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকিয়ে দেন অস্থি শল্য চিকিৎসক। লেক থানার পুলিশের কাছে এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগিণীর স্বামী। যদিও ওই চিকিৎসকের দাবি, অস্ত্রোপচার চলাকালীন রোগিণী বার বার পা নাড়ানোয় তিনি তাঁকে কড়া ধমক দিয়েছিলেন মাত্র।
কসবার বাসিন্দা, বছর ৫৪-র ঝুমঝুম পাল গত ৫ নভেম্বর পড়ে গিয়ে বাঁ পায়ে চোট পান। ১০ নভেম্বর যোধপুর পার্কের একটি নার্সিংহোমে তাঁর পায়ে প্লেট বসান অস্থি শল্য চিকিৎসক রামেন্দু হোমচৌধুরী। ঝুমঝুমের স্বামী সোমনাথ জানাচ্ছেন, ভাল-মন্দের মধ্যে দিয়েই চলছিলেন তাঁর স্ত্রী। আচমকা পায়ে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় রামেন্দুবাবুকে জানালেও তিনি আমল দেননি বলে অভিযোগ। সোমনাথ জানান, ক্রাচ নিয়েও হাঁটতে পারছিলেন না ঝুমঝুম। তখন প্লাস্টার কেটে পরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, অস্ত্রোপচারের জায়গায় ড্রেসিং করতে হবে। তা-ও শুরু হয়।
৭ এপ্রিল রামেন্দুবাবু জানান, প্লেট বসানোর সময়ে লাগানো একটি স্ক্রু খানিকটা সরে গিয়েছে। তাই ফের ছোট অস্ত্রোপচার করতে হবে। সোমনাথ বলেন, ‘‘আর বেশি টাকা খরচ করা সম্ভব নয় জানানোর পরে ওই নার্সিংহোম ১০ হাজার টাকায় অস্ত্রোপচার করতে রাজি হয়।’’ গত ৮ এপ্রিল সেই অস্ত্রোপচারের জন্য ঝুমঝুমকে অজ্ঞান করতে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। অভিযোগ, রোগিণীর পা অসাড় হওয়ার আগেই অস্ত্রোপচার শুরু করেন রামেন্দুবাবু। রোগিণী চিৎকার করে ওঠায় তিনি তাঁকে থাপ্পড় মারেন এবং পরে সেলাই করার সময়ে চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকিয়ে দেন।
বিষয়টি হতাশাজনক বলে দাবি করে রামেন্দুবাবু বলেন, ‘‘নভেম্বর থেকে ওই রোগিণীর চিকিৎসা করছি। আচমকা তাঁকে নিগ্রহ করব কেন? তবে এটা ঠিক, উনি বার বার পা নাড়াচ্ছিলেন। তাতে সুচ ভেঙে ঢুকে যাওয়ার ভয় ছিল। তাই কড়া ধমক দিয়েছিলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ওঁরা প্লাস্টারে জল ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন। ক্রাচ নিয়ে হাঁটতেন না। যা-ই হোক, এখন বদনাম করলেও আমি কিছু বলব না। তবে এত দিনের প্র্যাক্টিসে এটা খুবই অনভিপ্রেত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy