সুন্দরবনের ৩৬ জন ইকো-ট্যুরিস্ট গাইডকে ইংরেজি শেখানোর জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল মে মাসের ২২ তারিখে। নিজস্ব চিত্র।
সারা বছর পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে সুন্দরবনে। শুধু এ রাজ্যের মানুষই নন, ভিন্রাজ্যের এমনকি বিদেশি পর্যটকেরাও আসেন। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁরা বাংলা বোঝেন না। আবার ট্যুরিস্ট গাইডরাও ইংরেজিতে সরগর নন। এই গাইডদের রুজিরুটিতে ভাষা যাতে অন্তরায় হয়ে না দাঁড়ায়, তার জন্য তাঁদের ইংরেজি ভাষা শেখানোর উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতার আমেরিকান কনসুলেট জেনারেল। এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে আমেরিকার দূতাবাসের আঞ্চলিক ‘ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অফিস’ এবং বন্যপ্রাণপ্রেমী সংগঠন শের (সোসাইটি ফর হেরিটেজ অ্যান্ড ইকোলজিক্যাল রিসার্চেস) এবং সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ।
সুন্দরবনের ৩৬ জন ইকো-ট্যুরিস্ট গাইডকে ইংরেজি শেখানোর জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল মে মাসের ২২ তারিখে। সেই কর্মশালা ২৭ তারিখ অবধি চলেছে। ‘সুন্দরবনের মাল্টিপারপাস কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টার’-এর স্মার্ট ক্লাসরুমে ৬ দিনের প্রশিক্ষণ শিবির শেষে সুন্দরবনের প্রধান বন সংরক্ষক অজয় দাস অংশগ্রহণকারী গাইডদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন।
সাম্প্রতিক কালে পর্যটন নতুন মাত্রা পেয়েছে সুন্দরবনে। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য ঘুরে দেখতে সারা বছর পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। দেখা যায়, অবাঙালি পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়েন গাইডরা। ভিন্রাজ্য এবং বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলার একমাত্র মাধ্যম ইংরেজি। এই ভাষা এলাকার বেশিরভাগ গাইডই জানেন না। পর্যটকদের কাছে জলজঙ্গলের ইতিহাস, কাহিনি যাতে সহজেই তুলে ধরতে পারেন গাই়ডরা, তা নিশ্চিত করতেই এই কর্মশালার আয়োজন। ‘শের’-এর সম্পাদক জয়দীপ কুন্ডু বলেন, ‘‘এখন তো কর্পোরেটাইজ়েশনের যুগ। এই কর্মশালা যে সব গাইডরা অংশ নিয়েছেন, তাঁদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। যা ভবিষ্যতে তাঁদের কাজ পেতে লাগতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy