কলকাতা থেকে সানফ্রান্সিসকো যাচ্ছিলেন শৌনক।
বিমানে ওঠার আগে রবিবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরের এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়ে শৌনক দেখেন, টাকা নেই। দুবাই নেমেই সানফ্রান্সিসকোর উড়ান ধরতে হবে তাঁকে। হাতে সময় পাবেন না। আর মার্কিন মুলুকে পৌঁছে গেলে টাকার পরিবর্তে ডলার পাওয়া দুষ্কর। কলকাতায় গুগলের লোকাল গাইড শৌনক দাস যাচ্ছিলেন একটি বৈঠকে যোগ দিতে। তাঁর অভিযোগ, রবিবার তাঁর মতো অনেক যাত্রীই টাকা তুলতে গিয়ে খালি হাতে ফিরেছেন।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সমস্যা হচ্ছে মূলত রবিবার। ২০১৩ সালে যেখানে গড়ে প্রতিদিন কলকাতা থেকে ১৩ হাজার যাত্রী উড়ান ধরতেন, গত রবিবার সেখানে উড়ান ধরেছেন ৩৩ হাজার যাত্রী। দেশের মধ্যে কলকাতায় যাত্রী-বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি। বিমানবন্দরের এক কর্তা জানিয়েছেন, রবিবার প্রায়ই যাত্রীরা এসে অভিযোগ করেন, এটিএমে টাকা নেই। দেশের অভ্যন্তরে অন্য শহরের উড়ান যাঁরা ধরেন, তাঁরা গন্তব্যে পৌঁছে টাকা তুলে নিতে পারেন। কিন্তু যাঁরা বিদেশে যাচ্ছেন, তাঁরাই পড়ছেন সমস্যায়।
প্রশ্ন উঠেছে, এখন যেখানে এত যাত্রী যাতায়াত করেন সেখানে প্রস্থান (ডিপারচার) এলাকায় অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মাত্র দু’টি এটিএম কেন? একতলায় আগমন (অ্যারাইভাল) এলাকাতেও সাকুল্যে দু’টি এটিএম। বাইরে আরও একটি। তবে সেখানে টাকা না থাকলেও যাত্রীরা শহরে ঢুকে যে কোনও এটিএম থেকে টাকা তুলে নিতে পারেন।
ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, রোজ বিকেলে বিমানবন্দরে গিয়ে টাকা ভরা হয়। কিন্তু প্রতি মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় ওই দু’দিন টাকা ভরা হয় না। পরের দিন রবিবার ছুটি। ফলে, প্রতি সপ্তাহে সমস্যা দেখা দেয় দ্বিতীয় ও চতুর্থ রবিবারেই। যদিও একটি ব্যাঙ্কের তরফে দাবি, সোমবার সকালেও তাদের এটিএমে ১৫ লক্ষ টাকা ছিল।
কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা অতুল দীক্ষিতের কথায়, ‘‘যদিও রবিবারে টাকা না থাকার কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়েনি, তা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত টাকা রাখার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে বলা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy