—প্রতীকী ছবি।
বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে অভিযুক্ত আবদুল মতিন তহ্বা এবং মুসাভির হুসেন সাজিদ কলকাতায় ১৯ দিন একের পর হোটেলে গা ঢাকা দিলেও সে কথা জানতে পারেনি কলকাতা পুলিশ। স্বাভাবিক কারণেই শহরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কলকাতা পুলিশ প্রশ্নের মুখে পড়ে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কলকাতা শহরে থাকা সব হোটেল এবং অতিথিশালায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার।
কলকাতার হোটেল বা কোনও অতিথিশালায় বিদেশি নাগরিকেরা থাকলে তাঁদের ‘সি ফর্ম’ পূরণ করা বাধ্যতামূলক। হোটেলগুলি থেকে সেই তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় থানা-সহ কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে। তাঁদের মধ্যে কেউ অপরাধ ঘটালে কিংবা জঙ্গি নাশকতায় যুক্ত থাকলে চটজলদি ধরার জন্যই এই বন্দোবস্ত রেখেছে লালবাজার। কিন্তু দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে কেউ কলকাতার হোটেল বা অতিথিশালায় এসে থাকলে এই ধরনের কোনও ফর্ম পূরণ করতে হয় না। তাদের কেবল পরিচয়পত্র জমা দিলেই চলে। এ ক্ষেত্রে দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে আসা অতিথিদের তথ্য থানায় বা কলকাতা পুলিশের কাছে থাকে না। এমন সুযোগ নিয়েই দুই জঙ্গি কলকাতায় একের পর এক আস্তানা বদল করেছিল নিরাপদেই।
এমন ঘটনার পর কলকাতার হোটেল এবং অতিথিশালায় থাকতে আসা ব্যক্তিদের পরিচয় সংগ্রহে সক্রিয় হয়েছে কলকাতা পুলিশ। আর এই তথ্যগুলি যাতে নিজেদের মধ্যে দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়। সে কারণে কলকাতা পুলিশের তরফে একটি পোর্টাল খোলার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। ভিন্রাজ্যের নাগরিকেরা এখানে কোনও হোটেল বা গেস্ট হাউসে এলে তাঁদের জমা দেওয়া নথি ও ফোন নম্বর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আপলোড করার জন্য পোর্টালের কথা ভাবা হয়েছে। যিনি এসেছিলেন তাঁর জমা করা সমস্ত নথি ‘আসল’ কিনা, তা পোর্টাল মারফত পরীক্ষা করবে কলকাতা পুলিশ।
নিউ মার্কেট এলাকায় হোটেল ও অতিথিশালাগুলির পাশাপাশি ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসেও বহু বাংলাদেশি তথা ভিন্দেশের নাগরিকেরা থাকেন। এ ক্ষেত্রে লালবাজার থেকে কলকাতা শহরের ওই সব এলাকার থানাগুলিকে সজাগ করে দেওয়া হয়েছে। যত দিন না পোর্টালটি তৈরি হচ্ছে, তত দিন প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে নজরদারি করতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy