দ্বিতীয় দফায় কতগুলি ক্যামেরা বসানো হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ফাইল চিত্র।
শহরে আর কোথায় কোথায় সিসি ক্যামেরা লাগানো প্রয়োজন, তা জানাতে থানাগুলিকে নির্দেশ দিল লালবাজার। সেই মতো ‘নির্ভয়া’ প্রকল্পের দ্বিতীয় দফায় এমন এলাকা খুঁজতে সমীক্ষা শুরু হয়েছে, যেখানে ক্যামেরার নজরদারি প্রয়োজন। পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, দ্রুত কাজ শেষ করতে থানাগুলির কাছে প্রস্তাব আকারে নির্দিষ্ট জায়গার নাম চাওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের ‘নির্ভয়া’ প্রকল্পের অধীনে প্রথম দফায় শহরের ২৫৬টি স্কুল-কলেজে ১০২০টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। খরচ হয়েছে ৩২ কোটি টাকা। মূলত মেয়েদের স্কুল ও কলেজের বাইরে লাগানো হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওই সিসি ক্যামেরাগুলি। লালবাজার জানিয়েছে, থানার গুরুত্বপূর্ণ যে সব এলাকা এখনও ক্যামেরার নজরের বাইরে রয়ে গিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় সেই সমস্ত এলাকা বেছে নিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে কলকাতা পুলিশের সব থানাই নিজেদের এলাকার ৮-১০টি জায়গার নাম পাঠিয়েছে লালবাজারের কাছে।
দ্বিতীয় দফায় কতগুলি ক্যামেরা বসানো হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, আগের ক্যামেরাগুলি যাতে অকেজো না হয়, তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে। ওই ক্যামেরাগুলি যে ছবি তোলে, তা বর্তমানে বিভিন্ন উপ-নগরপালের দফতর থেকে দেখা যায়। কিন্তু বিভিন্ন থানার দাবি, ওই ছবি যদি থানা থেকেও দেখার ব্যবস্থা করা যায়, তা হলে বিভিন্ন অপরাধের দ্রুত কিনারা করা সম্ভব হবে। কিন্তু লালবাজারের একাংশের দাবি, সেই ব্যবস্থা চালু হবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে থানাগুলিকে বলা হয়েছে, কোনও ক্যামেরা অকেজো হলে লালবাজারকে তা দ্রুত জানিয়ে মেরামতির ব্যবস্থা করতে হবে।
এ দিকে, বিভিন্ন থানার সিসি ক্যামেরাগুলির রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শহরের বিভিন্ন থানায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। কিন্তু অভিযোগ, কিছু থানায় আচমকাই সেগুলি অকেজো হয়ে গিয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, সিসি ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন থানার আধিকারিকদের ঢিলেঢালা মনোভাবে লালবাজার ক্ষুব্ধ। তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy