ওই ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ছবি: কৃষ্ণকান্ত দাস।
ছ’তলায় ওঠার সময় লিফ্টের মধ্যে পা আটকে বিপত্তি। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ছ’তলার লিফ্টে ঝুলেই রইলেন বছর এক যুবক। বুধবার দুপুরে আলিপুরের ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে ঘটনাটি ঘটে। লিফ্টে পা আটকে পড়া ওই ব্যক্তির নাম সাহাবুদ্দিন মোল্লা। বুধবার আলিপুরের জেলাশাসক অফিসের ট্রেজারি বিল্ডিংয়ে গিয়েছিলেন বছর চুয়াল্লিশের সাহাবুদ্দিন। বেলা ১টা নাগাদ লিফ্টে চেপে ছ’তলায় উঠছিলেন তিনি। ছ’তলায় লিফ্টের দরজা খোলার পর তিনি বাইরে পা বাড়ানোর পরেই লিফ্টটি খানিকটা নীচে নেমে যায়। সাহাবুদ্দিনের পুরো শরীর লিফ্টের বাইরে থাকলেও তাঁর একটি পা লিফ্টের ভিতরে আটকে পড়ে।
লিফ্টের ভিতরে সাহাবুদ্দিন ছাড়াও আরও জনা দশেক মানুষ ছিলেন। তাঁরাও পাঁচ তলা এবং ছ’তলার মধ্যে লিফ্টটির ভিতরে আটকে যান। উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ডাকা হয় দমকলকেও। প্রায় দু’ঘণ্টা পরে লিফ্টের ভিতরে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করা হয়। লিফ্টের পাঁচ তলার দরজা দিয়ে বাইরে বার করে আনা হয় তাঁদের। এরও কিছু ক্ষণ পরে ছ’তলায় লিফ্টের রেলিং কেটে সাহাবুদ্দিনকে উদ্ধার করেন দমকলকর্মীরা। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর পায়ে আঘাত লেগেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে গিয়েছেন জেলাশাসক।
ওই লিফ্টের মধ্যেই আটকে ছিলেন টালিগঞ্জের যুবক কৃষ্ণকান্ত দাস। তিনি বলেন, ‘‘লিফ্ট ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের এক তলায় আসতেই লিফ্টে হুড়মুড় করে বেশ কয়েক জন উঠে যান। প্রত্যেক তলাতেই লিফ্ট দাঁড়াচ্ছিল। ছ’তলায় গিয়ে ওই ব্যক্তি বাইরে বেরোনোর সময় লিফ্টটি হঠাৎ নীচে নেমে যায়। তাঁর পা আটকে যায়। প্রাথমিক ভাবে অনেক ডাকাডাকির পরেও কোনও সাহায্য আসেনি। লিফ্টের আপৎকালীন বোতাম (ইমার্জেন্সি সুইচ) কাজ করছিল না। আমরা ওই ব্যক্তির পা তুলে দাঁড়িয়েছিলাম। না হলে পা কেটে গিয়ে বড় বিপদ ঘটতে পারত।’’
প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশের অভিযোগ, লিফ্টটি অনেক দিনের পুরনো। ঠিকঠাক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হয় না। লিফ্টর মধ্যে কোনও ‘লিফ্টম্যান’ থাকেন না। ফলে একসঙ্গে অনেকে উঠে পড়েন। নজরদারির অভাবেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy