Advertisement
১৯ মে ২০২৪
TMC TMC Councillor woman councillor Lake Town hanging body Suicide

সঞ্চিতা মৃত্যু রহস্য: যে যে প্রশ্নের জবাব মিলছে না

কী ভাবে ওই কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়, তা নিয়ে হাসপাতাল বা বিধাননগর পুলিশের তরফে কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি। ঘটনাটি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও। ফলে সঞ্চিতাদেবীর মৃত্যু নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা, উঠেছে নানা প্রশ্নও। যার কোনওটাই এখনও এক চিলতে পরিষ্কার হয়নি।

সঞ্চিতা দত্ত। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

সঞ্চিতা দত্ত। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৫:১০
Share: Save:

২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, দক্ষিণ দমদম পুরসভার কাউন্সিলর সঞ্চিতা দত্তের মৃত্যু রহস্য যে তিমিরে ছিল, রয়েছে সেখানেই। কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু, গোটা ঘটনা নিয়ে তারা মুখে কুলুপ এঁটেছে।

২০১৫ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রতীকে জিতে প্রথম বার কাউন্সিলর হন সঞ্চিতাদেবী। তাঁর স্বামী, তৃণমূল নেতা কৃষ্ণপদ দত্ত এলাকায় পরিচিত কেষ্ট দত্ত নামেই। রবিবার দুপুরে লেক টাউনের এস কে দেব রোডের বাড়িতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় সঞ্চিতা দেবীর। কী ভাবে ওই কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়, তা নিয়ে হাসপাতাল বা বিধাননগর পুলিশের তরফে কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি। ঘটনাটি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও। ফলে সঞ্চিতাদেবীর মৃত্যু নিয়ে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা, উঠেছে নানা প্রশ্নও। যার কোনওটাই এখনও এক চিলতে পরিষ্কার হয়নি।

আরও পড়ুন: লেকটাউনে অপমৃত্যু কাউন্সিলরের, ধোঁয়াশা

কী কী প্রশ্ন উঠছে?

এক) সঞ্চিতা দেবীর ছোট ছেলে সায়ন রবিবার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিল, ঘরে ঢুকে সে মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। কিন্তু, তিনি যদি আত্মহত্যা করে থাকেন, তা হলে ঘরের দরঝা খোলা ছিল কেন? সায়ন সেই ঘরে ঢুকলোই বা কী ভাবে?

দুই) কে বা কারা সঞ্চিতা দেবীকে উদ্ধার করে? তাঁরা কী ভাবেই বা তাঁকে দেখেছিলেন? এবং কোন অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন?

তিন) ঘটনার পর তড়িঘড়ি পুলিশকে খবর না দিয়ে সোজা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে কি তখনও বেঁচে ছিলেন ওই কাউন্সিলর? হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই কি মৃত্যু হয়? নাকি উদ্ধারকারীরা কিছু বুঝতেই পারেননি? পরে আরজিকর হাসপাতালে গিয়ে জানতে পেরেছেন?

চার) বারোটা নাগাদ বাড়ি ফিরেছিলেন। একটা নাগাদ মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় সায়ন। দেড়টা নাগাদ হাসপাতাল জানায়, কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। তা হলে পুলিশকে কেন আড়াইটে নাগাদ খবর দেওয়া হল? কেন তার আগে জানানো হয়নি?

আরও পড়ুন: অনটনেই কি চরম সিদ্ধান্ত বৃদ্ধ দম্পতির

পাঁচ) কেন তড়িঘড়ি ময়নাতদন্ত সেরে ফেলা হল? এত দ্রুত সেরে ফেলার পিছনে কি কোনও কারণ আছে?

ছয়) সঞ্চিতা দেবী মৃত্যু নিয়ে অনেক জল্পনা ছড়িয়েছে। সেই জল্পনার একটি অংশ হচ্ছে, তাঁর গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। এবং তাতে প্যাঁচ ছিল অনেকগুলো। কিন্তু, ১০ ফুটের ঘরে আড়াই ফুট ঝুলন্ত ফ্যান থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুটের সঞ্চিতা দেবী ঝুলে পড়লেন কী ভাবে? সেটা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।

প্রশ্ন অনেক। কিন্তু, এখনও এর একটিরও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। পুলিশ সবটাই খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে। তবে, সরকারি ভাবে এ দিন দুপুর পর্যন্ত তাদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE