রাজারহাটে নার্সারি ব্যবসায়ীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। প্রতীকী ছবি।
রাজারহাটের একটি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নার্সারির ব্যবসা চলে। সেখান থেকে গাছের চারা, ফুল, বীজ বিদেশেও যায়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রাস্তায় লরি দাঁড় করিয়ে গাছের চারা, টব বোঝাই করার সময়ে পুলিশ এসে টাকা চায় নিত্যদিন। এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাজারহাটে নার্সারি ব্যবসায়ীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। প্রথমে রাজারহাট থানার পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। পরে পুলিশের কর্তারা সমস্যা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তিন বেলাই পুলিশি উৎপাত সহ্য করতে হয় তাঁদের। লরিচালকদের হেনস্থা করা হয়, তাঁদের থেকে টাকা আদায় করা হয়। না দিলে বেআইনি পার্কিং, ওভার লোডিং-সহ নানা ধারায় মামলা করেন পুলিশকর্মীদের একাংশ। আসাদুল মোল্লা নামে এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ‘‘পুলিশ নিত্যদিন এসে জুলুম করে। দফায় দফায় টাকা চায়। দিতে না চাইলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়।’’
বিক্ষোভকারীদের এমনও অভিযোগ ছিল যে, ওই এলাকায় দু’টি বহুতল তৈরি হচ্ছে। সেখানে জিনিসপত্র ওঠানো-নামানোর সুবিধা করে দিতেই নার্সারির লরিগুলিকে বিরক্ত করা হচ্ছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির কাছে নালিশ জানিয়েও সুরাহা হয়নি। রাজারহাট তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর এ দিন জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের সঙ্গে কথা বলবেন।
কমিশনারেটের অবশ্য দাবি, বেআইনি ভাবে রাস্তায় লরি দাঁড় করালে পুলিশ মামলা করে। এক পদস্থ আধিকারিকের কথায়, ‘‘নিয়ম না মেনে পার্কিং করায় এ দিন ট্র্যাফিক পুলিশ একটি গাড়িকে জরিমানা করে। তাতেই ব্যবসায়ীদের একাংশ অবরোধ শুরু করেন। গাছতলার ছায়া দরকার বলেই ওঁরা অন্যের প্রকল্পের সামনে লরি দাঁড় করান। তা-ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy