দুর্ঘটনার পরে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে গাড়িটি। ফাইল চিত্র।
বন্ধুর বাড়িতে ফর্মুলা ওয়ান রেস দেখার পরেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন বালিগঞ্জের গুরুসদয় দত্ত রোডে দুর্ঘটনার কবলে পড়া অভিযুক্ত চালক। এই ঘটনায় গাড়ির আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এক পুলিশকর্তা জানান, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন অর্ণব চৌধুরী নামে বছর আঠারোর এক তরুণ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিন বন্ধু— জয়ন্তিকা ঝুনঝুনওয়ালা, স্পর্শ মাখারিয়া এবং তানিশা ভাট্টের। চার জনে মিলে সার্দান অ্যাভিনিউয়ে এক বন্ধুর বাড়িতে বসে ফর্মুলা ওয়ান রেস দেখছিলেন। সেটি দেখা শেষ করে গাড়ি নিয়ে বেরোন। গন্তব্য ছিল গুরুসদয় দত্ত রোডে আর এক বন্ধুর বাড়ি।
পুলিশ জানিয়েছে, মাত্র ছ’মাস আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছিলেন অর্ণব। ফলে, তাঁর অভিজ্ঞতা ছিল কম। আর ঘটনার সময়ে গাড়ির গতি ছিল অনেক বেশি। তদন্তকারীদের অনুমান, ফর্মুলা ওয়ান রেস দেখার প্রভাব চালকের উপরে পড়ে থাকতে পারে। যার জন্য ঘটে ওই দুর্ঘটনা। অর্ণব এখন হাসপাতালে ভর্তি। তিনি ছাড়া পেলে তাঁকে জেরা করে দুর্ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।
গত রবিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ গুরুসদয় দত্ত রোড ধরে তীব্র গতিতে যাচ্ছিল এসইউভি-টি। সেই সময়ে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি রাস্তার উল্টো দিকে চলে যায়। তখন সেই দিক থেকে আসছিল একটি দুধের ভ্যান। সেটির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কায় উল্টে যায় গাড়িটি। গুরুতর আহত হন চার জন। তাঁদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জয়ন্তিকাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অর্ণব এবং স্পর্শ।
পুলিশ জানিয়েছে, জয়ন্তিকার পরিবারের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অর্ণবের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্তে নেমে ওই এলাকার একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাতে দেখা যাচ্ছে, এসইউভি-টির গতি ছিল বেশি। তবে ঠিক কত গতিতে গাড়িটি চলছিল, তা জানতে সেটির ফরেন্সিক পরীক্ষার পাশাপাশি ‘ইম্প্যাক্ট অ্যানালিসিস’ও করা হবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy