— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
প্রত্যেক পড়ুয়ার আইডেন্টিটি কার্ডে থাকবে একটি কিউআর কোড। পড়ুয়া স্কুলে ঢুকে সেখানে রাখা মোবাইলে ওই কোড স্ক্যান করলেই তার অভিভাবকের মোবাইলে বার্তা যাবে, সন্তান স্কুলে পৌঁছেছে। আবার স্কুল ছুটির পরে পড়ুয়া আইডেন্টিটি কার্ড মোবাইলে স্ক্যান করলে সন্তানের স্কুল থেকে বেরোনোর বার্তা পাবেন অভিভাবক। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে যাদবপুর বিদ্যাপীঠে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নিরাপত্তায় এই অভিনব প্রযুক্তি শুরু হতে চলেছে।
স্কুলে সন্তানের উপস্থিতির খবর এ ভাবে প্রযুক্তির সাহায্যে অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা কিছু বেসরকারি স্কুলে আছে। তবে শহরের সরকারি স্কুলে এমন উদ্যোগ আগে হয়নি বলে দাবি যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্যের। সমগ্র শিক্ষা মিশনের কলকাতার চেয়ারম্যান কার্তিক মান্নাও বলেন, ‘‘সরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগ। এই উদ্যোগ অন্য সরকারি স্কুলগুলিকেও পথ দেখাবে।’’
পার্থপ্রতিম বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই অভিভাবকদের প্রশ্ন ছিল, কিছু বেসরকারি স্কুলে যে ব্যবস্থা আছে, আমাদের স্কুলে কি সেটা শুরু করা যায়? এখন স্কুলের প্রায় প্রত্যেক পড়ুয়ার অভিভাবকের স্মার্টফোন রয়েছে। তাই তাঁদের দাবি মেনে এই পদ্ধতি চালু হচ্ছে। প্রত্যেক পড়ুয়ার কিউআর কোড-সহ নতুন আইডেন্টিটি কার্ড তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। এই পরিষেবায় পড়ুয়াদের খরচ হবে বছরে ৫০ টাকা। স্কুলে একাধিক মোবাইল থাকবে। যেগুলিতে তারা কিউআর কোড স্ক্যান করতে পারবে।’’
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, শুধু যাতায়াতের নিরাপত্তাই নয়, স্কুলে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়া বা স্কুল থেকে বেরিয়ে দেরিতে বাড়ি ফেরার অভিযোগও উঠেছে। পার্থপ্রতিম জানান, পড়ুয়াদের জন্য ই-ডায়েরি চালু হয়েছে। যেখানে পড়ুয়ার যাবতীয় তথ্য থাকবে। সেখান থেকে অভিভাবকেরা স্কুলের দৈনন্দিন পড়াশোনাও বিষয়গুলিও দেখতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy