আহত যুবককে নিয়ে একের পর এক হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। প্রতীকী ছবি।
‘রেফার’-এর গেরোয় পড়েই কি মৃত্যু হল টালিগঞ্জের যুবকের, জানতে তিন হাসপাতালের কাছে রিপোর্ট তলব করল স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী মঙ্গলবার আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, ওই যুবককে প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনটি হাসপাতালের কাছে রিপোর্টও চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে টালিগঞ্জে একটি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন মেঘনাদ চন্দ্র নামে এক যুবক। তার পর তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে গেলেও চিকিৎসা মেলেনি বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। তাঁদের দাবি, মেঘনাদকে নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে গেলে তাঁকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে রেফার করা হয়। অভিযোগ, সেখানেও চিকিৎসা মেলেনি। বাঙুর থেকে মেঘনাদকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে। পরিবারের দাবি, সেখানে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। কিন্তু অস্ত্রোপচারে দেরি হওয়ায় মৃত্যু হয় মেঘনাদের।
এই ঘটনায় রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ তোলে মৃত মেঘনাদের পরিবার। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, ‘‘রোগীকে প্রাথমিক পরিষেবা এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হছে। তিনটি হাসপাতাল থেকেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রোগীর আঘাতের মাত্রা কতটা ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টও দেখা হবে।’’ একই তিনি বলেন, ‘‘জানতে পেরেছি, এনআরএসে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছিল। তবে কী চিকিৎসা হয়েছিল তার রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, ‘রেফার রোগ’ প্রসঙ্গে এর আগে সতর্ক করেছিলেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বটে। মমতা বলেছিলেন, রোগীকে অন্যত্র পাঠানোর আগে তাঁকে স্থিতিশীল অবস্থায় আনতে হবে। এমনকি, কিছু দিন আগে পিজিতে গিয়েও মমতা বলেছিলেন, ‘‘টিকিট করাতে গিয়েও যেন রোগীর চিকিৎসায় দেরি না হয়ে যায়। রোগীকে প্রাথমিক পরিষেবা এবং যত্ন করতে হবে আগে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy