কুণাল ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে ‘বিজেপি কমিশন’ বলে আক্রমণ করেছিলেন আগেই। ত্রিপুরা নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রীয় সংস্থাকে নিশানা করলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। হুমকি দেওয়া হচ্ছে লাগাতার। কিন্তু তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্যই করছে না জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়ে ধৃত নেতানেত্রীদের ছাড়িয়ে আনার পরেও ত্রিপুরায় বিজেপি-র ‘গুন্ডামি’ বন্ধ হয়নি বলে সোমবার অভিযোগ করেছিলেন কুণাল। মঙ্গলবার সকালে ফের টুইটারে এ নিয়ে সরব হন তিনি। দাবি করেন, আমবাসায় তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে রাত থেকে খবর পাচ্ছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, দলের কর্মীদের লাগাতার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে জানান কুণাল। তাঁর দাবি, গ্রেফতারির হুমকিও দেওয়া হচ্ছে তৃণমূল কর্মীদের। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। রাজ্য জুড়ে তাণ্ডব চলছে। অথচ এখন মানবাধিকার কমিশনের দেখা নেই।
Tripura update: খবর আসছে রাত থেকে আমবাসা এলাকার তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি থেকে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কাউকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোর্টে তোলা হবে। সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাণ্ডব চলছে।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 10, 2021
কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন কোথায়?
ত্রিপুরায় ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল আগ্রহ দেখানো শুরু করার পর থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। তৃণমূলের হয়ে জমি পরখ করতে গিয়ে প্রথমে সেখানে বন্দি হন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার কর্মীরা। তার পরই দিল্লি থেকে ফিরে ত্রিপুরা ছুটে যান অভিষেক। সেখানে বিজেপি-কে এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
এর পর দলের যুব নেতানেত্রীরা আক্রান্ত এবং গ্রেফতার হওয়ায় রবিবার ফের সেখানে যান অভিষেক। দিনভর থানায় ধর্না দিয়ে বসে থেকে জামিন পাওয়া আহতদের সঙ্গে নিয়ে রাতে কলকাতা ফিরে আসেন তিনি। সোমবার আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি হামলার জন্য আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও। বলেছিলেন, ‘‘বিপ্লব দেবের অত সাহস হয়নি যে এটা করবে। এ সবই হচ্ছে অমিত শাহের নির্দেশে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy