Advertisement
১৯ মে ২০২৪

ইটভাটার বৈধতা দিতে তোড়জোড়

চলতি আর্থিক বছরের শুরুতেই অবৈধ সব ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল গ্রিন বেঞ্চ। বছর শেষে সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ শুরু করল প্রশাসন। অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেই এই তোড়জোড়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৬ ০০:২৯
Share: Save:

চলতি আর্থিক বছরের শুরুতেই অবৈধ সব ইটভাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল গ্রিন বেঞ্চ। বছর শেষে সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ শুরু করল প্রশাসন। অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেই এই তোড়জোড়।

এই পরিস্থিতিতে ইটভাটাগুলিকে দ্রুত ‘বৈধতা’ দেওয়ার দাবি তুলেছেন মালিকেরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ব্রিক ফিল্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তথা সংগঠনের রাজ্য সহ-সভাপতি জ্যোতিপ্রকাশ হড় বলেন, “আমাদের ভাটাগুলির বেশিরভাগেরই বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। যাবতীয় নথি জমা দিয়েই সরকারি দফতরে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ চেয়েছি। কিন্তু দু’-একটি দফতর ছাড়া তা দিতে সকলেই গড়িমসি করছেন। এই পরিস্থিতিতে আমাদের ভাটা বন্ধ রাখা ছাড়া গতি নেই।” পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “উপযুক্ত নথি দিয়ে কোনও ইটভাটা যদি বৈধতার আবেদন জানায় আমরা তা দেওয়ার চেষ্টা করব।”

ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সমীক্ষা করে দেখে, জেলায় প্রায় ৪০০ ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ২১২টি ভাটার নাম রয়েছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের রেকর্ডে। এর মধ্যে মাত্র সাতটি ভাটা, যারা নিয়ম মেনে শংসাপত্র নিত। বেআইনিভাবে ইটভাটা গজিয়েছে নদীর চরে, সেচ দফতরের জমিতে। বাকিদের কারও দু’-একটি দফতরের শংসাপত্র কলেও সার্বিকভাবে বৈধ নয়। ২০০৮ সাল থেকেই কেউ নবীকরণে উদ্যোগী হননি। অভিযোগ, রাজস্ব ফাঁকি দিতেই ভাটা মালিকেরা নবীকরণের পথে যাননি।

বৈধতা পেতে কী কী করতে হবে? কৃষি, সেচ ও পূর্ত দফতরের পাশাপাশি জেলা পরিষদের ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ লাগবে। প্রয়োজন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের শংসাপত্রও। পরিবেশের ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য অবশ্য জেলাশাসককে চেয়ারম্যান করে চারজনের একটি কমিটি করা হয়েছে জেলাতেই। কমিটিই শংসাপত্র দিতে পারবে। সব শেষে মিলবে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের ‘কনসেন্ট টু অপারেট’। অর্থাত্‌ ভাটা চালানোর ছাড়পত্র।

ভাটা মালিকদের দাবি, রায়তি জমিতে থাকা মালিকেরা বৈধ কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। যে কয়েকটি ভাটা নদীর চরে বা খাস জমিতে রয়েছে তাঁরা আবেদন করতে পারেননি। কৃষি ও সেচ দফতরের কাছ থেকে দ্রুত নো অবজেকশন সার্টিফিকেট মিললেও পূর্ত দফতর ও জেলা পরিষদের কাছ থেকে মিলছে না। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সংহ অবশ্য জানিয়েছেন, “সব দফতরের এনওসি মিললে আমরা এক সঙ্গে সবাইকে এনওসি দিয়ে দেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

state news brick kiln legal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE