Advertisement
২০ মে ২০২৪
Elephant Death

জঙ্গলমহলে আবার হাতির মৃত্যু! অভিযোগ, জমিতে ঘেরা বিদ্যুতের তার ছুঁয়েই, তদন্তে বন দফতর

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়েরা দেখতে পান, জমিতে পড়ে রয়েছে হাতিটির দেহ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাতিটির শুঁড়ে রক্তের দাগ ছিল।

ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়ায় মৃত হাতি।

ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়ায় মৃত হাতি। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম ও মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ১৮:০৭
Share: Save:

ঝাড়গ্রাম জেলায় মৃত্যু হল একটি মহিলা অপরিণত বয়স্ক (সাব-অ্যাডাল্ট) হাতির। বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর কারণ জানতে হাতির দেহের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়া রেঞ্জের কুসুমঘাটি বিটের অধীন গোবিন্দপুর গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকায় যান ঝাড়গ্রামের বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) পঙ্কজ সূর্যবংশী-সহ বন দফতরের অন্য আধিকারিকেরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কুসুমঘাটির জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় ২০-২৫টি হাতির একটি দল ছিল। সেই দলেই ছিল আনুমানিক ১০-১২ বছর বয়স্ক মৃত মহিলা হাতিটি।

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়েরা দেখতে পান, জমিতে পড়ে রয়েছে হাতিটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাতিটির শুঁড়ে রক্তের দাগ ছিল। প্রথা মেনে গ্রামবাসীরা ধূপ, সিঁদুর দিয়ে মৃত হাতির পুজো করেন। ডিএফও সূর্যবংশী বলেন, ‘‘একটি মহিলা হাতির মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা সম্ভব নয়। আজ ময়নাতদন্ত করা হবে। তা ছাড়া, ঘটনাস্থলে তদন্ত করে প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।’’

প্রসঙ্গত, গত শনিবার ঝাড়গ্রাম জেলারই নয়াগ্রাম ব্লকের ওড়িশা সীমান্তবর্তী কেশররেখা রেঞ্জের (খড়্গপুর বনবিভাগের অন্তর্গত) চিলকিপদা এলাকায় মৃত্যু হয়েছিল একটি পুরুষ হাতির। বন দফতর সূত্রের খবর, দু’টি হাতির লড়াইয়ের জেরে একটি গুরুতর আহত হয়ে ডোবার জলে পড়ে যায়। খড়্গপুর বনবিভাগের বনকর্মী ও আধিকারিকেরা তাকে তোলার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যু হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE