নির্মলা বেরা ও শ্যামলী বেরা।
এক সময় দু’জনে মিলে হেঁশেল সামলেছেন। বিপদে সংসারের হাল ধরেছেন চার হাতে। বর্তমানে সংসারের সেই ‘বাঁধন’ ছেড়ে দু’জনেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে যুযুধান। এক জন লড়ছেন তৃণমূলের হয়ে। অন্যজন বিজেপি’র প্রার্থী।
নির্মলা বেরা আর শ্যামলী বেরা— পারিবারিক সম্পর্কে একে অন্যের জা। তাঁদের ‘লড়াই’ ঘিরে জমে উঠছে মহিষাদলের ভোটের ময়দান।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এবার মহিষাদলের নাটশাল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৬ নম্বর বুথে গোয়ালবেড়িয়ায় তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন নির্মলাদেবী। আর সেখানেই বিজেপি প্রার্থী করেছে তাঁর জা শ্যামলীদেবীকে। সম্পর্কে দু’জন জা হলেও রাজনীতির ময়দানে কেউই এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নয়।
জেলার বিভিন্ন এলাকার মতো নাটশালেও শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগ করেছেন বিজেপি প্রার্থী শ্যামলী। তাঁর কথায়, ‘‘শাসকদলের ভীতি সহ্য করেও আমরা শক্ত রয়েছি। কয়েক দিন ধরে বাড়ির বাইরে ছিলাম। এখন বাড়ি ফিরেই প্রচার শুরু করেছি।’’ এ মাসের শুরু থেকেই প্রচারে নেমেছেন শ্যামলীদেবী। তিনি বলেন, ‘‘আমি ভোটারদের যেমন বোঝাতে পারব, তেমন ভোট পাব। আর দিদি যেমন বোঝাবেন, তিনি তেমন ভোট পাবেন।’’
নির্মলাদেবী অবশ্য আগে ভাগেই ভোট প্রচারে নেমে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন উন্নয়ন করছেন, তেমনি ভোটে জিতলে আমিও গ্রামে ঢালাই রাস্তা বানাব।’’ তবে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী দুজনেই।
দুই জা’য়ের লড়াই প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা প্রথমে নির্মলাদেবীকে প্রার্থী করেছিলাম। তা জানতে পেরে বিজেপি ওঁর জা’কে প্রার্থী করেছে। তবে ওঁরা সেভাবে প্রচার করেনি। ফলে ভোটে বিজেপি তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না।’’ অন্যদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি প্রদীপকুমার দাসের বক্তব্য, তৃণমূল পরিবারেও রাজনীতি ঢুকিয়ে সম্পর্কে ভাঙনের চেষ্টা করছে।’’
নির্মলাদেবী এবং শ্যামলীদেবী বর্তমানে আলাদা বাড়িতে থাকলেও ভোটের আবহ তাঁদের পারিবারিক সম্পর্কে কি প্রভাব ফেলবে? প্রশ্ন শুনেই তৃণমূল প্রার্থী নির্মলাদেবীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘ভোট ভোটের জায়গায়। ভোটের পরও আমাদের সম্পর্ক একই রকম থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy