পূর্ব মেদিনীপুরের স্কুলে জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি। — নিজস্ব চিত্র।
মিড ডে মিল রান্নার সময় স্কুলের রান্নাঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর। কাকতালীয় ভাবে ঠিক সেই সময়েই স্কুল পরিদর্শনে জেলাশাসক। এই দৃশ্য নজরে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন জেলাশাসক। এ নিয়ে রাঁধুনিদের ধমক দিলেন তিনি। শনিবার এমনই ছবি ধরা পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার রাতুলিয়া নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলে। শনিবার সেই স্কুলেই গিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি।
শনিবার বেলায় রাতুলিয়ার ওই স্কুলে হাজির হন পূর্ণেন্দু। স্কুলে ঢুকেই তিনি চলে যান মিড ডে মিলের রান্নাঘরে। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, রান্নাঘরে ঘুরছে কুকুর। তা নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন জেলাশাসক। এ ছাড়া অপরিষ্কার রান্নাঘর নিয়েও অসন্তোষ জানান তিনি। পূর্ণেন্দু ধমকের সুরে বলেন, ‘‘আপনারা এত কেয়ারলেস কেন? বাড়িতেও এ রকম করেন না কি? বাড়ির বাচ্চারাই বাচ্চা, এখানকার বাচ্চারা কেউ নয়?’’ রাঁধুনিরা অবশ্য জেলাশাসককে জানান, অসাবধানতা বশত এমনটা ঘটেছে। পরে জেলাশাসক বলেন, ‘‘আমরা জেলার প্রতিটি স্কুলে যাচ্ছি। পঠনপাঠনের মান, রান্নার মান কেমন তা নিয়ে পড়ুয়াদের মতামত নিচ্ছি।’’
রান্নাঘরে কুকুর দেখে ক্ষিপ্ত জেলাশাসক বলেন, ‘‘এতটা উদাসীন হওয়া কখনওই উচিত নয়। স্কুলের রান্নাঘরে এমন অব্যবস্থা হলে শিশুদের ক্ষতি হতে পারে। এ ধরনের ঘটনা আগামিদিনে যাতে না ঘটে তার জন্য সতর্ক করেছি।’’ তবে জেলাশাসক এও বলেন, ‘‘এই জেলার স্কুলগুলির পড়াশোনার মান অত্যন্ত ভাল। সকলকে আরও যত্নবান হতে বলেছি।’’
রাতুলিয়া স্কুলের প্রধানশিক্ষক মানস কুমার মণ্ডলের সাফাই, ‘‘১৬৪ জন ছাত্রছাত্রীকে পড়াতে মাত্র ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। এর মধ্যে প্রধানশিক্ষককে অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। ফলে পড়ানোর জন্য মাত্র ৪ জন শিক্ষক। স্কুলে কোনও কেরানিও নেই। তাই রান্না-সহ অন্যান্য বিষয়ে নজরদারির অভাব হচ্ছে। বিষয়টি দেখার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy