মেদিনীপুর পুরসভায় টেন্ডার ছাড়া গাড়ি কেনায় সম্প্রতি আপত্তি জানায় ফিনান্স অফিসারের দফতর। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার ফের বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা না করে পুরসভায় অতিরিক্ত দাম দিয়ে এসি মেশিন কেনার অভিযোগ উঠল।
বিরোধীদের দাবি, সম্প্রতি বিভিন্ন দফতরে লাগানোর জন্য পুরসভা ৫টি নতুন এসি মেশিন কিনেছে। এক-একটি এসি মেশিন কিনতে পুরসভার খরচ হয়েছে প্রায় ৯৬ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে অবশ্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। যদিও অনলাইন টেন্ডার ডাকা হয়নি।
টেন্ডারে বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারই এসি মেশিন সরবরাহ করেন। শহরের এক বিরোধী কাউন্সিলরের কথায়, “এর আগেও এসি লাগানো হয়েছে। সেগুলোর দাম খুব বেশি হলে ৫৫-৬০ হাজার টাকা হবে। এ বারই প্রথম এত টাকা ব্যয় করে পুরসভায় এসি বসানো হল। ভাবা যায়?’’
আরও খবর
তোড়জোড়েই থমকে পুরসভার ওয়েবসাইট
মেদিনীপুরের কংগ্রেস কাউন্সিলর শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ও বলছেন, “নতুন এসি মেশিন কেনা নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে বলে মনে পড়ছে না। টাকার অঙ্ক কম-বেশি যাই হোক না কেন সমস্ত কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায়
রাখা উচিত।” শহরের আর এক কংগ্রেস কাউন্সিলর সৌমেন খানেরও বক্তব্য, “নতুন এসি কেনা নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।”
টেন্ডার ছাড়া দু’টি গাড়ি কিনে সম্প্রতি বিপাকে পড়েছিল পুরসভা। এ ভাবে গাড়ি কেনা নিয়ে আপত্তি জানায় ফিনান্স অফিসারের দফতর। পুরপ্রধানের দফতরে ‘নোট’ পাঠিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। পুরসভার কোনও কাজে ফিনান্স অফিসারের দফতরের আপত্তি ছিল এই প্রথম। তারপরেও কেন এসি মেশিন কেনা নিয়ে বোর্ড মিটিংয়ে কোনও আলোচনা করা হল না।
পুরসভা অবশ্য এতে অন্যায়ের কিছু দেখছে না। মেদিনীপুরের পুরপ্রধান প্রণব বসু বলেন, “প্রয়োজন ছিল। তাই কয়েকটা এসি মেশিন কেনা হয়েছে। এসি কেনায় কোনও অস্বচ্ছতা নেই।’’ একই দাবি উপ-পুরপ্রধান জিতেন্দ্রনাথ দাসেরও। তাঁর কথায়, “সব কেনাকাটা স্বচ্ছতা বজায় রেখেই করা হয়।”এক পুরকর্তার বক্তব্য, “সামান্য এ সব জিনিসপত্র কিনতে বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনার দরকার হয় না!” পরক্ষণেই তাঁর সংযোজন, ‘‘একটু ভাল এসি কেনা হয়েছে। তাই হয়তো দাম একটু বেশি পড়েছে। এটা এমন কোনও ব্যাপার নয়!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy