—প্রতীকী চিত্র।
চন্দ্রকোনায় বেসরকারি স্কুল প্রাঙ্গণে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় স্কুলের মালিক এবং অধ্যক্ষাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার স্কুলের পাশে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছিল নবম শ্রেণির আবাসিক ছাত্র শুভজিৎ দত্তের দেহ। তার বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার স্কুলের মালিক গৌতম প্রসাদ দাস এবং অধ্যক্ষা ধীরা পাল দাসকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ।
স্কুলের পাশে পুকুরে কেন এবং কী ভাবে তাঁর ছেলে গেল এবং সাঁতার জানা সত্ত্বেও কী করে তার মৃত্যু হল, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মৃত ছাত্রের বাবা শান্তিপ্রসাদ দত্ত। তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনেন। তার প্রেক্ষিতেই এই গ্রেফতারি। মঙ্গলবার ধৃতদের ঘাটাল মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
চন্দ্রকোনা থানার রানিগঞ্জের মাধবপুর এলাকার বাসিন্দা শান্তিনাথ। তিনি জানান, তাঁর ছেলে শুভজিৎকে বছর চারেক আগে রামজীবনপুরের ওই বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করেছিলেন। শান্তিনাথের কথায়, ‘‘নবম শ্রেণিতে পড়ছিল ছেলে। সোমবার দুপুরে ফোন আসে জলে ডুবে মারা গিয়েছে ও। আমার ছেলে শান্ত, চুপচাপ গোছের। মেধাবী। সব সময় পড়াশোনা নিয়ে থাকত। কী ভাবে এমন দুর্ঘটনা হল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ।’’ তাঁর অভিযোগ, ছেলের মৃত্যুর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। তিনি স্কুলের মালিক এবং অধ্যক্ষার শাস্তি চান। রামজীবনপুর এলাকায় ওই বেসরকারি স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে। স্কুলের হস্টেলে থাকেন অনেক আবাসিক। স্কুল চত্বর থেকে বেরিয়ে পাশের পুকুরে কী ভাবে শুভজিৎ গেল, কেন সিসি ক্যামেরার নজরদারি নেই— এমন নানা প্রশ্ন তুলেছে মৃতের পরিবার। সোমবারই ময়নাতদন্তের পর ছেলের দেহ গ্রামে নিয়ে যান বাবা। রাতে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
অন্য দিকে, ওই ঘটনা প্রসঙ্গে এসডিপিও (ঘাটাল) অগ্নীশ্বর চৌধুরী বলেন, ‘‘ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy