খড়্গপুর স্টেশনে ক্ষুব্ধ যাত্রীদের সাহায্যের আশ্বাস আরপিএফ-এর। —নিজস্ব চিত্র।
চালুই হয়নি বাতানুকূল যন্ত্র। ভ্যাপসা গরমে হাসফাঁস করতে থাকা যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে চেন টেনে থামাতে চেয়েছিলেন সাঁতরাগাছি-পুরুলিয়া রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস। কিন্তু, চেষ্টাই সার! চেন কাটা থাকায় থামেনি ট্রেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা এই অসহনীয় পরিস্থিতি চলার পরে ট্রেন খড়্গপুরে পৌঁছনো মাত্র যাত্রীরা স্টেশনে নেমে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে রেলের ইঞ্জিনিয়ারেরা বাতানুকূল যন্ত্র ও চেন মেরামতি করেন। রেল সূত্রে খবর, খড়্গপুর স্টেশনে ঢোকার প্রায় ৫০ মিনিট বাদে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস রওনা দেয় পুরুলিয়ার উদ্দেশ্যে।
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে খড়্গপুর স্টেশনে। এ দিন সকাল ৬টা বেজে ২৫ মিনিটে রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস সাঁতরাগাছি স্টেশন ছাড়ে। ট্রেন চলতে শুরু করলেও বাতানুকূল কামরা (রূপসী বাংলা এক্সপ্রেসে একটি মাত্র বাতানুকূল কামরা রয়েছে) ঠান্ডা না হওয়ায় অস্বস্তি শুরু হয় যাত্রীদের। চেন ধরে ঝুলে পড়লেও ট্রেন দাঁড়ায়নি বলে যাত্রীদের অভিযোগ। আটটা নাগাদ ট্রেন ঢোকে খড়্গপুরে। তার পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। ওই ট্রেনের যাত্রী দেবাংশু গঙ্গোপাধ্যায়, শুভব্রত রায়, প্রদীপ্ত সান্যালের তোপ, “রেলের ভাড়া বাড়লেও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য যে এতটুকু বাড়েনি, এই ঘটনা তারই নজির।”
মেরামতির জন্যে রেলকর্মীরা এলে তাঁদের ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। বাতানুকূল যন্ত্র মেরামতির পরে যাত্রীরা দাবি তোলেন, শুধু বাতানুকূল যন্ত্র নয়, ট্রেনের চেন-ও ঠিক করতে হবে। সেই মতো রেলের কর্মীরা এসে চেন ঠিক করেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার আপ বিবেক এক্সপ্রেসের বাতানুকূল যন্ত্র বিকল, ডাউন করমন্ডলের ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা ঘটেছে। প্রতি ঘটনাতেই যাত্রী বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষকে। খড়্গপুরের ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রূপসী বাংলার বাতানুকূল যন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ায় একটা সমস্যা হয়েছিল। এর জেরে খড়্গপুর স্টেশনে সামান্য বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। মেরামতির পরেই ট্রেন ছেড়েছে।” তাঁর দাবি, এর ফলে অন্য ট্রেনের চলাচলে কোনও সমস্যা হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy