Advertisement
০৭ মে ২০২৪
Singur

Singur Case: সিঙ্গুর মামলা থেকে মন্ত্রী বেচারাম মান্না-সহ ৩১ জন বেকসুর খালাস

সিঙ্গুর আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন কৃষক নেতা বেচারাম ও সিঙ্গুরের বাসিন্দারা। সেই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণেই একের পর এক মামলায় অভিযুক্ত হন তাঁরা।

বিধাননগর আদালতে সিঙ্গুর মামলা থেকে বেকসুর খালাস পাওয়ার পর মন্ত্রী বেচারাম মান্না, সঙ্গে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক নয়না।

বিধাননগর আদালতে সিঙ্গুর মামলা থেকে বেকসুর খালাস পাওয়ার পর মন্ত্রী বেচারাম মান্না, সঙ্গে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক নয়না। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:৩০
Share: Save:

সিঙ্গুর মামলা থেকে মন্ত্রী বেচারাম মান্না-সহ ৩১ জনকে বেকসুর খালাস করে দিল আদালত। বুধবার বিধাননগরে সাংসদ-বিধায়কদের জন্য তৈরি বিশেষ আদালতে ছিল সিঙ্গুর মামলার শুনানি। সেখানেই ৬৮টি মামলা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হল মন্ত্রী-সহ ৩১ জনকে।

২০০৬ সালে সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠীর গাড়ি কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছিল তৎকালীন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট সরকার। সেই সময় সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী্র নেতৃত্বে সেই সময় সিঙ্গুরে আন্দোলন হয়। সেই আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন কৃষক নেতা বেচারাম ও সিঙ্গুরের বাসিন্দারা। সেই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণেই একের পর এক মামলায় অভিযুক্ত হন তাঁরা। সেই সমস্ত মামলা থেকেই তাঁদের বেকসুর খালাস করে দিল আদালত। বামফ্রন্ট সরকার যে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করেছিলেন, সেই দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন বেকসুর খালাস হওয়া তৃণমূল কর্মীরা।

আদাতলের রায় ঘোষণার পর শ্রমমন্ত্রী বেচারাম বলেন, ‘‘সিঙ্গুর মামলায় সবচেয়ে বেশি অভিযুক্তদের শুনানি ছিল। আমরা যে নির্দোষ, তা প্রমাণ হয়ে গেল। এর আগে সিঙ্গুরে জমি অধিগ্রহণ যে আইনমাফিক হয়নি, তা সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে বলেছিল। এই রায়ে যেমন সে কথা বলা হয়েছে, তেমনই আমদের বিরুদ্ধেও যে মামলা হয়েছিল, তার প্রত্যেকটিই যে মিথ্যা আদালতের রায়েই তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।’’ এর পরেই তিনি আরও বলেন, ‘‘মোট ৬৮টি মামলা ছিল। তার প্রায় সবই শেষ গিয়েছে। কেবল মাত্র একটি মামলাই আর রয়ে গিয়েছে। তাতে যাঁরা অভিযুক্ত রয়ে গিয়েছেন, আশা করব তাঁরাও দ্রুত বিচার পাবেন।’’ সেই একটি মামলায় মন্ত্রী বা বেকসুর খালাস পাওয়া ৩১ জন অভিযুক্ত নন বলেই জানা গিয়েছে।

ঘটনাচক্রে, বুধবার বিধাননগরে সাংসদ-বিধায়কদের জন্য তৈরি বিশেষ আদালতে এসেছিলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুর মামলা থেকে সতীর্থদের বেকসুর খালাস হওয়ায় তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে যান উত্তর কলকাতার সাংসদ ও তাঁর বিধায়ক স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE