—প্রতীকী ছবি।
মৃত্যু হয়েছে তিন মাস আগে। কিন্তু অভিযোগ ছিল খুনের। তাই তিন মাস পর মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে এবং বহরমপুর জেলা জজ আদালতের নির্দেশ মতো ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে তোলা হল এক ব্যক্তির দেহ। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের ডোমকলের শীতলনগর এলাকার। মৃতের নাম রফিকুল হাসান মিয়াঁ(৫৬)। মঙ্গলবার দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে দেহটি কবর থেকে তোলা হয়।
আদালত সূত্রে খবর, গত বছর ২৯ নভেম্বর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের ডোমকলের শীতলনগর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুলের। স্থানীয় একটি কবরস্থানে তাঁর মৃতদেহটি কবর দেওয়া হয়। কিন্তু এই ঘটনার কিছু দিন পরেই রফিকুলকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মৃতের স্ত্রী টুনটুনা খাতুন বিবি। আদালতের দ্বারস্থ হন টুনটুনা। আদালতের নির্দেশে মত মৃত্যুর তিন মাস পরে কবর থেকে দেহ তুলে ফের ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, টুনটুনা ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করেন। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি বাপের বাড়ি মোমিনপুরে চলে যান। এই ঘটনার পর বেশ কিছু বছর কেটে যায়। রফিকুল ও টুনটুনার গর্ভস্থ সন্তান জয়লাল হাসান মিয়াঁ ১৯ বছর পর তাঁর পৈতৃক ভিটেতে ফিরে আসেন। অভিযোগ, বাড়ির ৮ শতাংশ জমি রফিকুলের ছেলেকে না দিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যরা ভাগ করে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেয়। এর পরই জমির দাবি করেন টুনটুনা এবং হাসান। ক্রমে বচসার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পরই আচমকা নিখোঁজ হন রফিকুল। কিন্তু তার পর বাড়িতেই রফিকুলের মৃতদেহ পাওয়া যায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বহরমপুর জজ আদালতে খুনের অভিযোগ তুলে মামলা করেন টুনটুনা। তবে জানা গিয়েছে, অভিযোগের পর থেকেই ঘর ছাড়া অভিযুক্ত আজিজুল মিঞা, শুর্মিলা বিবি, আম্বিয়া বিবি-সহ পরিবারের আরও দুই সদস্য। দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন হাসান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy