সায়ন চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
এক কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় লগ্নি সংস্থার দু’জন কর্তার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। শনিবার সকালে বহরমপুরের তেলঘড়িয়ার পুরনো বাড়ির দোতলায় কড়ি-বরগার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন লগ্নি সংস্থার কর্মী সায়ন চট্টোপাধ্যায় (২৪)।
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে মৃত্যুর আগে লেখা সায়নের চিঠিও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। বহরমপুর থানার আইসি শৈলেনকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই কর্মী ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তুলেছিলেন। তিনি ওই টাকা জমা দেননি। টাকা আদায়ের জন্য সংস্থার তিন জন কর্তা তাঁর উপরে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে বলে ওই সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে।’’
সংস্থার ওই তিন কর্তা হলেন—বিজনেস এগজিকিউটিভ মিলন শেখ, বিজনেস ম্যানেজার মোনাজাত রহমান এবং ক্রেডিট ম্যানেজার চিরঞ্জীব পালচৌধুরী। তার মধ্যে মিলনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে। বাকি দু’জনের মধ্যে মোনাজাত বীরভূমের ও চিরঞ্জীব চন্দননগরের বাসিন্দা।
সায়নের তুতো দাদা দীপায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানান, বাবা-মায়ের এক মাত্র সন্তান সায়ন আট মাস আগে ওই সংস্থার সেলস এক্সিকিউটিভ পদে যোগ দেয়। সংস্থার কর্তাদের দাবি, সায়ন ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা গ্রাহকদের কাছ থেকে তুলে জমা দেয়নি। ওই টাকার জন্য সংস্থার তরফে ওই তিন কর্তা বিভিন্ন ভাবে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। এমনকী বাড়িতে এসে হুমকিও দেয়। এক লক্ষ টাকা মিটিয়েও দেয়। বাকি ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য গত শুক্রবার রাতে বহরমপুরের রানিনবাগান এলাকার একটি হোটেলে ডেকে নিয়ে গিয়ে তার উপরে ফের মানসিক চাপ সৃষ্টি করে ওই তিন কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy