ভেঙে পড়েছেন জরিনা। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। নিজস্ব চিত্র।
মানবিকতার পরিচয় দিল বিএসএফ।
ভারতে মৃত মায়ের মুখ যাতে বাংলাদেশি মেয়ে দেখতে পান তার জন্য সব ব্যবস্থা করল তারা। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী বিজিবি-র সঙ্গে কথা বলে মৃতদেহ সীমান্তে আনা হয়। সেখানেই চোখের জলে মাকে বিদায় দিলেন মেয়ে জরিনা মণ্ডল।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত গ্রাম মার্টিয়ারি। সেই গ্রামের মেয়ে জরিনা মণ্ডলের বিয়ে হয় বাংলাদেশের গয়েশপুর গ্রামে। তখন সীমান্তে কাঁটাতার ছিল না। ছিল না বিএসএফের তেমন কড়াকড়িও। ফলে অনায়াসে বাপের বাড়ি ঘুরে যেতেন। কাঁটাতারের বেড়া হওয়ার পর থেকে সে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। রবিবার জরিনার মা নুরজানা মণ্ডল (৮১) মারা যান। খবর যায় মেয়ে জরিনার কাছে। শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখতে আকুল হয়ে পড়েন তিনি। বোনের কথা শুনে দাদারা যোগাযোগ করেন বানপুর বিএসএফ ক্যাম্পের কর্তাদের সঙ্গে। সব শুনে বিএসএফের তরফে যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশের বিজিবি-র সঙ্গে। দুই বাহিনীর কর্তারা সিদ্ধান্ত নেন, নুরজান মণ্ডলের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সীমান্তের ‘জ়িরো’ লাইনে। আর বাংলাদেশ থেকে আসবেন মেয়ে জরিনা। শেষে জিরো লাইনেই মাকে শেষ দেখা দেখতে
পান জরিনা।
মৃত নুরজানা মণ্ডলের বড় ছেলে ইসলাম মণ্ডল বলেন,“বোনকে মায়ের মুখটা শেষ বারের মতো দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বিএসএফ আর বিজিবিকে অনেক ধন্যবাদ। আমরাও কত দিন পর জরিনাকে
দেখতে পেলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy