মেদিনীপুর, বসিরহাট, তার পর অশোকনগর ঘুরে তাঁর হারানো প্রতিপত্তির খোঁজ দিয়েছিল মালদহ। লম্বাটে পোস্টারে তাঁর হাস্যমুখ—দীপাবলির শুভেচ্ছা। তৃণমূল থেকে সদ্য বহিষ্কৃত মুকুল রায়ের সেই চেনা পোস্টারে ছেয়ে গেল নদিয়ার চাপড়া।
দু’একটি ফ্লেক্সের নীচে আলগোছে চোখে পড়ছে সৌজন্য বাহকের নাম। সকাল থেকে তাই জেলা জুড়ে ছড়িয়ে গিয়েছিল প্রশ্ন— তা হলে কি অসময়ে ফের ফুটবে মুকুল!
তবে, বেলা বাড়তেই সে সব ফ্লেক্স খুলে দিয়েছে মুকুলের পুরনো দলের কর্মীরা। অস্বস্তিতে পড়া জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ মুখে কুলুপ আঁটলেও এ নিয়ে যে তলে তলে জল ঘোলা হয়েছে, নবান্ন থেকে এসেছে ফোন, তা জানাচ্ছেন জেলার এক তাবড় কর্তা। নদিয়া বরাবরই মুকুলের নিজের জেলা বলে পরিচিত। দলের জেলা পর্যবেক্ষকই নন এ জেলার বুথ স্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। দল তাঁকে তাড়িয়ে দিলেও তলে তলে যে তাঁর সঙ্গে অনেকেই য়োগাযোগ রাখছেন, তৃণমূলের এক জেলা নেতাও তা মেনে নিয়েছেন। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, চাপড়া এলাকাতেও এমন কয়েক জন নেতা রয়েছেন যাঁদের স্বচ্ছন্দে এই তালিকায় ফেলা যায়। চাপড়ায় যে’কটি ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে তার দু’একটায় রয়েছে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি হরিদাস প্রামাণিক ও প্রাক্তন জেলা নেতা দেবপ্রসাদ দাসের নাম। তা হলে? হরিদাস পরিচিত মুকুল-ঘনিষ্ঠ। তবে, ‘দাদা’ দল ছাড়ার পরে তিনি এখন বলছেন, ‘‘আমার কি মাথা খারাপ! কারা এই ফ্লেক্স টাঙাল বুঝতে পারছি না। আমিও তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি।’’ প্রকাশ্যে অস্বীকার করলেও তাঁদের অনুগতদের দাবি, ওই দুই নেতার মদতেই এ কাজ হয়েছে। প্রস্তুতি চলছিল গোপনে। কয়েক জন নেতার মধ্যে ফ্লেক্সের ছবি নিয়ে নিজেদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে ছবি চালাচালিও হয় বলে দলীয় সূত্রে খবর। তবে, ওই দুই নেতার নাম, ভুল করেই ছাপা হয় বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy