ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (আইসার) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সাগর মণ্ডলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমে এ বার তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলল পুলিশ।
ঘটনার পরে শনিবারই প্রথম সাগরের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে এত বিশদে কথা বলল পুলিশ। সাগরের বাবা সুশান্ত মণ্ডল পুলিশকে অনুরোধ করেন, তদন্তে যেন কোনও খামতি না থাকে। কেন তাঁদের ছেলেকে হারাতে হল, তা-ও তাঁরা জানতে চান। তার নির্দিষ্ট উত্তর পুলিশ দিতে পারেনি। তবে তদন্তের গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী তাঁদের সব জানানো হবে বলে তারা জানিয়ে এসেছে। সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীও এ দিন সাগরের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন।
সাগরের বাবা তাঁর তিন সহপাঠীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনলেও পুলিশি তদন্ত আত্মহত্যার সম্ভাবনাই বেশি করে সামনে আনছে। পুলিশ জেনেছে, সম্প্রতি চরম মানসিক টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন সাগর। তবে সেটা সম্ভবত জাতপাত সংক্রান্ত কারণে নয়। আইসার-এর অন্য তফসিলি জাতি ও জনজাতির পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ তেমন কোনও জাতের নামে ঠেস দেওয়ার অভিযোগ পায়নি। এমনকী, সাগরের যে ডায়েরি পুলিশের হাতে এসেছে, তাতেও তেমন কোনও ইঙ্গিত নেই।
তা হলে কীসের টানাপড়েন? সেটা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে টাকাকড়ি সংক্রান্ত দুশ্চিন্তার বিষয়টি পুলিশ উড়িয়ে দিতে পারছে না। তাদের বক্তব্য, অত্যন্ত দরিদ্র পরিবার থেকে আইসারে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন সাগর। প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে ফতেপুর গ্রামে তাঁর বাড়ি হলেও নিয়মের কারণেই তাঁকে হস্টেলে থাকতে হত। বাড়ি থেকে তিনি টাকা নিতেন না, আইসার থেকেই বৃত্তি পেতেন। কোনও ভাবে কি তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল? সেই প্রশ্নেরও উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ইতিমধ্যে সাগরের প্রায় সব সহপাঠীর সঙ্গেই এই বিষয়ে কথা বলা হয়েছে। কাল, সোমবার আইসার কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও তারা বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy