Advertisement
০৮ মে ২০২৪
Death

খেলতে গিয়ে ইটভাটার গর্তের জলে ডুবে মৃত্যু চাঁচলের দুই শিশুর

মৃতদের পরিবারের দাবি, ইটভাটা লাগোয়া এলাকায় বসতি থাকা সত্ত্বেও দেওয়াল তোলেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কোনও বেড়া বা প্রাচীর থাকলে এই অঘটন ঘটত না বলে পরিবারের দাবি।

মঙ্গলবার খেলতে খেলতে ইটভাটার জলভর্তি একটি বড়সড় গর্তের কাছে চলে যায় শিশুরা। অভিযোগ, এর পর সকলের অলক্ষ্যেই  গর্তে গড়িয়ে পড়ে যায়।

মঙ্গলবার খেলতে খেলতে ইটভাটার জলভর্তি একটি বড়সড় গর্তের কাছে চলে যায় শিশুরা। অভিযোগ, এর পর সকলের অলক্ষ্যেই গর্তে গড়িয়ে পড়ে যায়। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২ ১৯:২০
Share: Save:

বাড়ির অদূরে ইটভাটায় খেলতে গিয়ে একটি গর্তের জলে ডুবে মৃত্যু হল মালদহের চাঁচলের ২ শিশুর। মঙ্গলবার চাঁচলের দক্ষিণ হারোহাজরা গ্রাম লাগোয়া ওই ইটভাটার গর্তের জলে ভাসতে দেখা যায় শিশুদের। তড়িঘড়ি তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে শিশুদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতেরা হল আড়াই বছরের তাসমিরা খাতুন এবং আনিমুল হক (৫)। মৃতেরা পৃথক পরিবারের হলেও তাদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। মঙ্গলবার মৃতদের দেহদু’টি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হারোহাজরা গ্রামে একটি ইটভাটা লাগোয়া এলাকায় বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করে। মৃত শিশুদের পরিবারও ওই গ্রামেই থাকে। ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন ওই দুই পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের দাবি, মঙ্গলবার তাসমিনা এবং আনিমুলের বাবারা ইটভাটায় কাজ করছিলেন। রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন তাদের মায়েরা। সে সময় পাড়ার অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল ওই দুই শিশু। খেলতে খেলতে ইটভাটার জলভর্তি একটি বড়সড় গর্তের কাছে চলে যায় তারা। এর পর সকলের অলক্ষ্যেই গর্তে গড়িয়ে পড়ে যায়। পরে বাকি শিশুরা কথা শুনে ঘটনাটি জানতে পারে ওই শিশুদের পরিবারের লোকজন-সহ পাড়াপ্রতিবেশীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সেখানে ছুটে যান। ওই গর্তের জলে শিশুদের দেহ ভাসতে দেখে তাদের উদ্ধার করেন তাঁরা। এর পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিশুদের উদ্ধার করে চাঁচলের সুপার স্পেশাল্যাটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃতদের পরিবারের দাবি, ইটভাটা লাগোয়া এলাকায় বসতি থাকা সত্ত্বেও দেওয়াল তোলেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কোনও বেড়া বা প্রাচীর থাকলে এই অঘটন ঘটত না বলে পরিবারের দাবি। মৃত শিশুর কাকিমা মানসুরা খাতুন বলেন, ‘‘ইটভাটায় গর্ত করা হলেও তা ঘেরা ছিল না। গর্তটা ঘিরে দেওয়া উচিত ছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Accident Brick Klin Chanchal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE