মহড়া: শিক্ষিকার সঙ্গে স্তোত্র গানে ছাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র
সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনের মঞ্চে থাকার সুযোগ পাবেন জলপাইগুড়ির চার কলেজ ছাত্রী এবং তাঁদের গানের শিক্ষিকা। জাতীয় সঙ্গীতের পর বৈদিক স্তোত্র গাওয়ার ভার দেওয়া হয়েছে তাঁদের ওপরে। সঙ্গতকার হিসেবে থাকবেন দু’জন। এই সাত জন ছাড়া আর কোনও শহরবাসীর কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনের মঞ্চে থাকার সুযোগ নেই। তাঁদের মঞ্চে ওঠা, স্তোত্র গাওয়া এবং নেমে যাওয়ার জন্য রয়েছে পাঁচ মিনিট। ‘সংগচ্ছধ্বং সংবদধ্বং’ স্তোত্র গাইবেন তাঁরা। যে অনুষ্ঠানে দর্শকাসনে বসার আমন্ত্রণ পেতে শহর জুড়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গিয়েছে, সেখানে মঞ্চে থাকার সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত তাঁরা।
শহরে নয়াবস্তির বাড়িতে ছাত্রীদের নিয়ে দু’বেলা করে মহড়ায় বসছেন জলপাইগুড়ির মহিলা কলেজের শিক্ষিকা শীলা দত্ত ঘটক। জলপাইগুড়ি জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল সমবেত সঙ্গীতের জন্য। তিনি তাঁর ছাত্রীদের মধ্যে থেকে বেছে নিয়েছেন দীপান্বিতা দাস, প্রিয়া রায় কর্মকার, সুস্মিতা রায় এবং রোজি গোলদারকে। ওঁদের সকলেরই জন্ম সার্কিট বেঞ্চ আন্দোলনে নব্বইয়ের দশকে শহরে উত্তাল সময়ের পরে। ২০০৬-০৭ সালে ফের যখন জলপাইগুড়িতে টানা আন্দোলন শুরু হয়, তখনও ওঁরা ছোট। রোজি অবশ্য বলেন, “এত দিনের আন্দোলনের পরে বেঞ্চ হচ্ছে। উদ্বোধনে মঞ্চে থাকতে পারব, ভাবলেই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।”
তবলাবাদক বুবলাই সরকার বেঞ্চের দাবিতে মিছিলে হেঁটেছেন। সিন্থেসাইজ়ার বাদক অরিন্দম চক্রবর্তী। অনুষ্ঠান নিয়ে শীলাদেবীও রোমাঞ্চিত। তিনি কলকাতার আদি বাসিন্দা হলেও বললেন, ‘‘এত দিন থাকার পরে আমি জলপাইগুড়িরই। সার্কিট বেঞ্চের বহু আন্দোলন দেখেছি, সামিলও হয়েছিলাম।’’ উদ্বোধনী স্তোত্র গাওয়ার সময় মঞ্চ এবং দর্শকাসনে থাকবেন ভিআইপিরা। প্রিয়ার কথায়, ‘‘আমরা কিন্তু নার্ভাস নই।’’
অনুষ্ঠানসূচি পুরোটাই হাইকোর্ট ঠিক করেছে। সূত্রের খবর, বৈদিক স্তোত্র গাওয়ার দল ঠিক করতে প্রশাসনকে ভার দেয় হাইকোর্ট। জেলা তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিক সূর্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জেলা প্রশাসন থেকে যা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, পালন করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy