—প্রতীকী ছবি।
গভীর রাতে জাতীয় সড়কের ধারে খুন জমি ব্যবসায়ী। কোচবিহারের ২ ব্লকের পুণ্ডিবাড়ি থানার মহিষবাথান এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে গুলি করে খুন করা হয় সুশীলচন্দ্র দাসকে (৪৭)। সোমবার তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতে বাড়ি ফিরছিলেন খারিজা কাকরিবাড়ির বাসিন্দা সুশীল। সেই সময়েই গুলিবিদ্ধ হন তিনি। জাতীয় সড়কে পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকেরাই তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখান থেকে প্রৌঢ়কে স্থানান্তরিত করা হয় কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় সুশীলের। পরিবারের দাবি, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদের জেরেই হয়তো খুন করা হয়েছে তাঁকে। মৃতের দাদা পরিমল দাস বলেন, ‘‘১০-১২ বছর থেকে দাদা কোচবিহারেই থাকেন। আমাদের আদি বাড়ি আসামে। গতকাল রাতে আমাদের কাছে ফোন আসে যে, দাদার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। আমরা তড়িঘড়ি কোচবিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দিই। হাসপাতালে এসে দেখি দাদাকে কারা যেন গুলি করেছে। দাদা জমি কেনাবেচার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। আমাদের সন্দেহ, জমি কেনাবেচা নিয়েই হয়তো কারও সঙ্গে বিরোধ হয়েছিল। সে কারণেই দাদাকে খুন করা হয়েছে।’’
এই ঘটনায় কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমারসানি রাজ বলেন, ‘‘গতকাল রাতে পুণ্ডিবাড়ি থানার অন্তর্গত মহিষবাথান এলাকায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে সুশীলচন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তিকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে। এর পর স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোম এবং পরে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ আজ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy