ফোঁটা দিচ্ছেন শোভা। নিজস্ব চিত্র।
অন্য রকম ভাইফোঁটার সাক্ষী থাকল উত্তর দিনাজপুরের বড়ুয়া গ্রাম। ছোটবেলা থেকেই কনুইয়ের নীচ থেকে দু’টি হাত কাজ করে না। তা-ও দুই ভাইকে প্রতি বছর ফোঁটা দেওয়া চাই। ‘নিজের পায়ে’ সব আয়োজন করে এ বারও ফোঁটা দিলেন রায়গঞ্জের রাঙ্গাকুপুর গ্রামের শোভা মজুমদার।
পেশায় শিক্ষিকা শোভার হাত দু’টি কাজ না করলেও নিজের বেশির ভাগ কাজ পা দিয়েই সেরে নেন। যেমন করে ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন, চাকরি করছেন, তেমনই প্রতি বছরের মতো এ বারও ভাইফোঁটার দিন ভোরে উঠে শিউলি ফুল কুড়ানো, চন্দনবাটা-সহ সব উপাচার পা দিয়েই সংগ্রহ করেছেন শোভা।
দুই ভাইও দিদির হাতে ফোঁটা নেওয়ার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন। শোভা বাঁ হাতের কড়ে আঙুল দিয়ে কোনও রকমে কাঁপা কাঁপা হাতে ভাইদের কপালে ফোঁটা দিলেন এ বারও। একই ভাবে মিষ্টি মুখ করালেন দুই ভাইকে। শোভার কথায়, ‘‘পা দিয়েই সব জোগাড় করেছি। তবে ভগবান হয়তো দুই ভায়ের কপালে ফোঁটা দিতেই আমার বাঁ হাতের এই কড়ে আঙুলে কিছুটা জোর দিয়েছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy