গুলিবিদ্ধ যুবক। — নিজস্ব চিত্র।
পথ আটকে দাঁড়িয়ে থাকা যুবকদের সরাতে মোটরবাইকের হর্ন বাজিয়েছিলেন শিক্ষক। অভিযোগ, সেই ‘অপরাধে’ তাঁকে মারধর করে তিন দুষ্কৃতী। ফাঁড়িতে সেই অভিযোগ জানিয়ে ফেরার পথে ওই শিক্ষক ও তাঁর সঙ্গীদের উপরে ফের গুলি চালিয়ে হামলা করার অভিযোগ উঠল ওই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে মালদহের বৈষ্ণবনগরের কবিরাজটোলা গ্রামের এই ঘটনায় শিক্ষকের এক সঙ্গী গুলিবিদ্ধ হন। জখম মঙ্গল সরকার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মালদহ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন গোলাপগঞ্জ হাইস্কুলের বাংলা বিভাগের শিক্ষক চন্দন সরকার স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি কবিরাজটোলা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, শেরশাহ বাঁধের কাছে পথ আটকে তিন মদ্যপ যুবক দাঁড়িয়েছিল। অভিযোগ, চন্দনবাবু মোটরবাইকের হর্ন বাজালেও ওই যুবকেরা পথ ছাড়েনি। তিনি হর্ন বাজাতে থাকলে ওই তিন যুবক মিলে তাঁকে মোটরবাইক থেকে টেনে নামিয়ে ব্যাপক মারধর শুরু করে। স্থানীয়েরা ছুটে গেলে অভিযুক্ত যুবকেরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ওই শিক্ষক গ্রামের দুই যুবককে নিয়ে স্থানীয় কুম্ভীরা ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে যান চন্দনবাবু। তিনি তিন জনের নামে অভিযোগ করেন। ফেরার পথে ফাঁড়ি থেকে ১০০ মিটার পার হতেই অভিযুক্তেরা তাঁদের দিকে দু’রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবাবুর বাঁ হাত ছুঁয়ে পেটে গুলি লাগে। ফাঁড়ি থেকে পুলিশ গুলির শব্দ পেয়ে ছুটে গেলে অভিযুক্তরা মোটরবাইক নিয়ে পালায়। স্থানীয়রা মঙ্গলকে উদ্ধার করে প্রথমে বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত যুবকের বাবা লক্ষ্মীকান্ত সরকার বলেন, ‘‘চাষবাস করে দিন চলে। চন্দনের সঙ্গে ছেলে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল। পরে শুনি এই ঘটনা। পুলিশ দ্রুত দোষীদের ধরুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy