Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Investment

বাংলাদেশের বিনিয়োগের ভাবনায় উত্তরবঙ্গ, দাবি

আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নেপালের কনসাল জেনারেল ইশোররাজ পৌডেল, ‘নেপাল-ইন্ডিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এর সহসভাপতি সুনীল কেসি।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

সৌমিত্র কুন্ডু
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪ ০৭:৩৪
Share: Save:

এ রাজ্যের উত্তরবঙ্গকে বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসাবে দেখছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে সে দেশে ভারতীয় বিনিয়োগ টানতেও তারা উদ্যোগী। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়ির একটি হোটেলে ‘বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এর 'প্রসপেক্ট অব নর্থবেঙ্গল, ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড সাসটেনেবলিটি' শীর্ষক আলোচনাসভায় তেমনই জানান কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস।

ইলিয়াস বলেন, ‘‘সীমান্ত দেশের বিনিয়োগ নিয়ে আইনি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তবে ২০২২ সালে ভারত সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে ঠিক হয়েছে, ঢালাও ভাবে নয়, নির্দিষ্ট প্রকল্প বিষয়ে বাংলাদেশ এ দেশে বিনিয়োগ করতে পারবে। সে জন্য দুই দেশের বাণিজ্যিক সংগঠন তথা চেম্বার অব কমার্স এখন সক্রিয়। তাতে দুই দেশেই বিনিয়োগের সম্ভাবনা এখন সহজ হচ্ছে।" জানান, বাংলাদেশেও ভারতে বিনিয়োগের জন্য বিশেষ আর্থিক অঞ্চল (স্পেশাল ইকোনমিক জ়োন) করা হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গ সব সময়ই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু অবস্থানগত কারণেই নয়, এখানকার সঙ্গে একটা ইতিহাসিক যোগ রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশের উত্তর অংশের বহু মানুষ উত্তরবঙ্গে পড়াশোনা, চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে আসেন। সে কারণে 'হেল‌্থ টুরিজ়ম’-এর মতো ক্ষেত্রও গড়ে উঠেছে।’’

আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নেপালের কনসাল জেনারেল ইশোররাজ পৌডেল, ‘নেপাল-ইন্ডিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এর সহসভাপতি সুনীল কেসি। ইশোররাজ বলেন, "নেপাল উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশে দিতে চায়। কথা চলছে। ভারতের এই এলাকার মধ্য দিয়েই তা যাবে। ভারতকেও তা দেওয়া হবে।" বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার জানান, এ ধরনের ত্রিপাক্ষিক কাজ হলে, তা পুরো অঞ্চলের উন্নয়নে সহায়ক হবে। শিলিগুড়ি লাগোয়া অঞ্চলে অনুসারী শিল্পের পরিকাঠামো তৈরি হবে। উত্তরবঙ্গের পর্যটন, চা শিল্পও উপকৃত হবে।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের তিস্তা নদীর জলবন্টন নিয়ে সমঝোতা এখনও হয়নি। উত্তরবঙ্গ থেকে মিতালী এক্সপ্রেস চালু হওয়ায় দুই দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা কিছুটা এগিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের ইতিবাচবাচক মনোভাব স্থানীয় শিল্পের বিকাশে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টেরা।

আলোচনাসভায় যোগ দিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব বলেন, "উত্তরবঙ্গকে তুলে ধরার জন্য এ ধরনের বাণিজ্যিক সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। যত বেশি করে হবে, তত ভাল। উত্তরবঙ্গে যে শিল্প-সম্ভাবনা রয়েছে তা কাজে আসবে।" ‘বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়’-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর জেনারেল অঙ্গনা গুহ রায় চৌধুরী বলেন, "এই আলোচনায় আঞ্চলিক সহযোগিতার উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে পারস্পরিক সহযোগিতা, এলাকায় বিভিন্ন শিল্প গড়ে তোলায় সহায়ক হবে। বাংলাদেশ, নেপালের প্রতিনিধিরা তাই এসেছেন। এখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটনের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁরা বিনিয়োগে উৎসাহী হলে তা এলাকার উন্নয়নে সহায়ক হবে।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bangladesh Siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE