Advertisement
১৯ মে ২০২৪

আহত শ্রমিক, মৃত বাইসনও

চা বাগানে বাইসনের তান্ডবে জখম হলেন ৭জন। উদ্ধার করার পরে অবশ্য মারা যায় ওই বাইসনটিও। শনিবার সকালে ডুয়ার্সে নাগরাকাটা ব্লকের ব্লকের ভুটান সীমান্তবর্তী ক্যারণ চা বাগানে একটি বাইসন ঢুকে পড়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালবাজার শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৬ ০২:২৫
Share: Save:

চা বাগানে বাইসনের তান্ডবে জখম হলেন ৭জন। উদ্ধার করার পরে অবশ্য মারা যায় ওই বাইসনটিও। শনিবার সকালে ডুয়ার্সে নাগরাকাটা ব্লকের ব্লকের ভুটান সীমান্তবর্তী ক্যারণ চা বাগানে একটি বাইসন ঢুকে পড়ে। সেটিকে দেখে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাগান থেকে বেরোবার পথ না পেয়ে ছোটাছুটি শুরু করে বাইসনটিও।

বাইসন দেখে আতঙ্কে পালাতে গিয়ে সেটির সামনে পড়ে আহত হয় শ্রমিকরা। বাইসনের গুঁতোয় গঙ্গা বড়াইক নামের এক শ্রমিকের পায়ে আঘাত লাগে। বুধুয়া মুন্ডার মাথা ফেটে যায়। অন্য এক শ্রমিক নন্দিতা ওঁরাওয়ের কোমরে চোট লাগে। বাইসনের আঘাতে জখমদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হলেও বাকিদের প্রাথমিক শুশ্রুষার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বাইসনের তাণ্ডবে বাগানের কাজকর্ম শিকেয় ওঠে।

গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের খুনিয়া রেঞ্জ, জলপাইগুড়ি বনবিভাগের ডায়না রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাইসনটিকে জঙ্গলে পাঠাতে ব্যর্থ হন। পাহাড়ি ঢালের ওপরে থাকা ক্যারণ চা বাগানে চড়াই উতরাই ভেঙে বাইসনের মোকাবিলা করা যাবে না দেখে সরাসরি ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ার সিদ্ধান্ত নেন বনকর্মীরা। দু’বার ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে বাইসনটি নিস্তেজ করলে সেটি পা হড়কে পাহাড়ি ঢাল থেকে গড়িয়ে শ্রমিক মহল্লার দিকে পড়ে যায়। এরপর ক্রেনের সাহায্যে বাইসনটিকে ট্রাকে তুলে গরুমারায় নিয়ে আসা হলে পথেই সেটির মৃত্যু হয়। গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, ‘‘বাইসনের হৃদযন্ত্র এমনিতেই দুর্বল। চা বাগানে ছোটাছুটি করে ক্লান্ত হয়ে বাইসনটি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।’’ বাইসনটির ময়নাতদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি তাঁদের চিকিৎসাও বনদফতরের উদ্যোগে করানো হবে বলে জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

death Bison
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE