ফেরা: মৌসমকে স্বাগত জানাতে করোনার সতর্কতা উপেক্ষা করে ভিড় জমালেন নেতা-কর্মীরা। মালদহ টাউন স্টেশনে শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
করোনা-রুখতে জমায়েত না করার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। দু’জনের মধ্যে কমপক্ষে এক মিটার দূরত্ব রাখার বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। এমন সতর্কবার্তার মধ্যেই শুক্রবার সকালে ভিড় উপচে পড়ল মালদহ টাউন স্টেশনে। রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে মৌসম নুর জেলায় ফিরতেই তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে হাজির হলেন শতাধিক নেতা-কর্মী। যদিও স্টেশনে দলীয় নেতা-কর্মীদের জমায়েত রুখতে সোশ্যাল মাধ্যমে আগেই ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছিলেন মৌসম।
রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার পরে এ দিনই প্রথম মালদহে পৌঁছন তিনি। তাঁকে স্বাগত জানাতে দলের নেতাকর্মীদের কেউ উত্তরীয়, কেউ ফুলের মালা নিয়ে হাজির হন মালদহ টাউন স্টেশনে। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের মহিলা নেত্রী চৈতালি ঘোষ সরকার, নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, বিশ্বজিৎ মণ্ডল, রহিম বক্সি, সৌমিত্র সরকার এবং ইংরেজবাজার শহরের একাধিক কাউন্সিলর ও নেতা-কর্মী। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী গিয়েছিলেন স্টেশনে। কয়েক জনের মুখ ঢাকা ছিল মাস্কে।
মৌসমকে স্বাগত জানাতে একসঙ্গে শতাধিক নেতা-কর্মীর জমায়েত নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জমায়েতে নিষেধ করা হচ্ছে। গ্রামীণ হাট, শপিং মল, সিনেমা হল, অডিটোরিয়াম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ, রাজ্যের শাসক দলের লোকেরা ভিড় করে নেত্রীকে স্বাগত জানাচ্ছেন।’’ তৃণমূলের বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর সুরেই সুর মিলিয়ে তৃণমূলের সমালোচনা করেছেন উত্তর মালদহের বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে ভিড় জমিয়ে নেত্রীকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। করোনার কথা ভেবে সকলেই প্রশাসনকে সহযোগিতা করছেন। অথচ, তৃণমূলের নেতারাই সেই নিয়ম মানছেন না।’’
এ নিয়ে মৌসম বলেন, ‘‘ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে দলীয় কর্মীদের স্টেশনে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। তারপরেও কিছু নেতা-কর্মী উচ্ছ্বসিত হয়ে স্টেশনে হাজির হন। দ্রুত স্টেশন থেকে তাঁদের ফেরৎ পাঠানো হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy